আলোকস্বল্পতায় দিনের খেলা শেষ হয়ে গেছে ৭৫ ওভারেই। দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ভারতের বোর্ডে জমা হয়েছে ১ উইকেটে ৩৭ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা পিছিয়ে ১২২ রানে।
চা-বিরতির পর প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রানে অলআউট করে দিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। ১২ রান করে যশস্বী জয়সওয়াল সাজঘরে ফিরেছেন মার্কো জানসেনের বলে বোল্ড হয়ে দলীয় ১৮ রানে। লোকেশ রাহুল ১৩ ও ওয়াশিংটন সুন্দর অপরাজিত আছেন ৬ রানে।
এর আগে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দীর্ঘ ৬ বছর পর ইডেন গার্ডেন্সে ফিরে টেস্ট ক্রিকেট। কলকাতার মাঠে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটির প্রথম ইনিংসে ভারতের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। ১৫৯ রানে অলআউট হওয়ার পেছনে মুখ্য ভুমিকা রাখেন ১৬তম ফাইফার নেওয়া জসপ্রিত বুমরাহ।
টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তবে তার সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করেন ভারতের বোলাররা। বিশেষ করে শেষ ১৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে বাভুমার দল দ্রুত গুটিয়ে যায়।
ভারতের হয়ে তোপের শুরুটা করেন বুমরাহ। দুই ওপেনারকেই সাজঘরের পথ দেখান তিনি। ৫৭ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন রায়ান রিকেলটনকে (২৩) বোল্ড করে। এইডেন মার্করাম ৩১ রান করে আনপ্লেয়বল এক ডেলিভারিতে ক্যাচ দেন উইকেটকিপার ঋষভ পন্তের গ্লাভসে। ৬২ রানে পতন হয় দ্বিতীয় উইকেটের। মার্করামের ৩১ রানই শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ হয়ে থাকে প্রোটিয়াদের ইনিংসে।
মাঝে দুই উইকেট শিকার করেন কুলদীপ যাদব। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা (৩) ও উইয়ান মুল্ডার (২৪) দুজনই কাটা পড়েন চায়নাম্যানের ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউ হয়ে। ১১৪ রানে ৪ উইকেট হারানো সফরকারীরা পরের উইকেট হারায় আবারো বুমরাহর বলে। দলীয় ১২০ রানে টনি দে জর্জি ২৪ রান করে পড়েন লেগ বিফোরের ফাঁদে। পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় বাভুমারা।
৪ বল ও ১ রানের ব্যবধানে এক ওভারের ভেতর জোড়া উইকেট নিয়ে বিপদ বাড়িয়ে দেন মোহাম্মদ সিরাজ। দলীয় ১৪৬ রানে কাইল ভেরাইনে (১৬) ও ১৪৭ রানে মার্কো জানসেন (০) হতাশ হয়ে ফিরে যান সিরাজের বলে। ১৫০ এর আগেই পতন হয় ৭ উইকেটের।
ভেরাইনেকে দিয়েই শুরু হয় শেষ ১৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর রেস। ৩ রান করা করবিন বসকে অক্ষর প্যাটেল ফিরিয়ে দিলে ১৫৪ রানে ৮ উইকেট হারানো আফ্রিকার অলআউট হওয়া তখন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
পরের দুই উইকেট তুলে নেন দিনের সেরা বোলার জসপ্রিত বুমরাহ। সাইমন হার্মারকে (৫) বোল্ড করে নিজের চতুর্থ শিকারের পর এলবিডব্লিউ করেন কেশব মহারাজকে রানের খাতা খুলতে না দিয়ে। মহারাজের উইকেট নিয়ে নিজের ফাইফারের পাশাপাশি ১৫৯ রানে অলআউট করেন দক্ষিণ আফ্রিকাকেও।
ভারতের হয়ে বুমরাহ ৫টি, সিরাজ ও কুলদীপ নেন সমান দুটি করে উইকেট। আর অক্ষর প্যাটেলের ঝুলিতে গেছে ১ উইকেট।
টিজে/টিকে