জয়া বচ্চনের কথায় ফিরে এল পুরোনো দিনের সেই মায়া, যখন জীবনের সঙ্গী হিসেবে অমিতাভ বচ্চনকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তটি ছিল খুবই ব্যক্তিগত, আবার গভীর ভাবনার ফসল। জয়া জানালেন, অমিতাভের যে গুণটি তাঁকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছিল, তা হলো তাঁর কঠোর শৃঙ্খলা। তিনি বলেন, নিজেও শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী হওয়ায় অমিতাভের সেই জীবনযাপন তাঁকে গভীরভাবে টেনেছিল।
জয়া নিজের কথায় প্রকাশ করেছেন, তিনি একজন কঠোর মা- সোজাসাপ্টা, মনোভাব প্রকাশে নির্দ্বিধা। কিন্তু অমিতাভ সম্পূর্ণ অন্যরকম। তিনি খুব বেশি কথা বলেন না, নিজের মতামত নিজের মধ্যেই রাখেন। তবে জানেন সঠিক সময়ে, সঠিক উপায়ে নিজের চাওয়া প্রকাশ করতে হয়। জয়া হাসতে হাসতে স্বীকার করেন, এই জায়গাতেই দু’জনের সবচেয়ে বড় পার্থক্য। আর সেই পার্থক্যই সম্পর্ককে করেছে আরও দৃঢ়।
তাঁর কথায় উঠে এসেছে এক ধরনের মজার তুলনাও-যদি নিজের মতো আরও একজনকে বিয়ে করতেন, দু’জনই যেন আলাদা আলাদা দিকের মানুষ হয়ে যেতেন। জয়া বলেন, একজন থাকতেন বৃন্দাবনে, অন্যজন কোথাও দূরে। তাই এই ভিন্নতা, এই দুই বিপরীত স্বভাবই নাকি তাঁদের দাম্পত্যকে করেছে সমঝোতায় ভরা এবং টেকসই।
জয়ার এ স্বীকারোক্তিতে যেন সম্পর্কের চিরচেনা সত্য-মানুষ নিজের মতো কাউকে নয়, বরং এমন কাউকেই বেছে নেয়, যার ভিন্নতাই জীবনে আনে ভারসাম্য। অমিতাভের নীরব শক্তি আর জয়ার খোলামেলা স্বভাব-এ দুইয়ের মিলনেই গড়ে উঠেছে পাঁচ দশক পেরোনো এক স্থির সম্পর্ক।
কেএন/টিকে