বর্ষীয়ান অভিনেত্রী জয়া বচ্চন বরাবরই ঠোঁটকাটা স্বভাবের। দুনিয়া তাকে নিয়ে কী ভাবে সেই ব্যাপারে ‘ডোন্ট কেয়ার’ মনোভাব তার। এরই মাঝে সম্প্রতি বিয়ে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বচ্চন পত্নী!
বিয়ে সম্পর্কে তার চিন্তাভাবনা শেয়ার করে জয়া বলেন বিয়ের ধারণাটি এখন পুরানো হয়ে গেছে। জয়া বচ্চন জানিয়েছেন, তিনি চান না তার নাতনি নভ্যা নাভেলি বিয়ে করুক!
জয়া বচ্চনের সাফ কথা, জীবনকে উপভোগ করা উচিত। মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চনের স্ত্রী জয়া বচ্চন বলেছেন, তার কথাগুলো মানুষের কাছে আপত্তিকর মনে হতে পারে কিন্তু তার মতে, একে অপরের প্রতি শারীরিক আকর্ষণ ও সম্পর্ক থাকাও গুরুত্বপূর্ণ।
বিয়ে নিয়ে অমিতাভ বচ্চনেরও একই মতামত আছে কিনা জানতে চাইলে জয়া বলেন, ‘তিনি হয়তো বলতে পারেন যে আমিই তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল’।
উই দ্য উইমেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয়া বচ্চনকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে অমিতাভ বচ্চনেরও বিয়ে সম্পর্কে একই চিন্তাভাবনা আছে কিনা, তখন অভিনেত্রী বলেন, “আমি তাকে জিজ্ঞাসা করিনি। উনি হয়তো বলবেন এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল, কিন্তু আমি তা শুনতে চাই না।”
জয়া বচ্চন স্বীকার করেছেন যে আজ বিয়ে সম্পর্কে তার খুব আলাদা চিন্তাভাবনা থাকলেও তিনি প্রথম দর্শনেই অমিতাভ বচ্চনের প্রেমে পড়েছিলেন।
অমিতাভের সঙ্গে তার লাভস্টোরি নিয়ে এই প্রজন্মের আকর্ষণ কম নয়, কারণ বিগ বি আর রেখার পরকীয়া চর্চার রসালো গল্পই বেশি শোনা যায় অতীত ঘাঁটলে। জয়া বচ্চন কখন অমিতাভ বচ্চনের প্রেমে পড়েন এমন প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘পুরোনো ক্ষত কুড়ে কী আনন্দ পাবেন? আমি গত ৫২ বছর ধরে বিবাহিত। এর চেয়ে বেশি ভালোবাসতে পারব না। আমি যদি বলি বিয়ে করো না, আমাকে পুরানো দেখাবে, আমি প্রথম দর্শনেই তার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম’।
হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের ‘গুড্ডি’ ছবির সেটে প্রথম দেখা হয়েছিল অমিতাভ বচ্চন ও জয়া ভাদুড়ীর। ‘এক নজর’ ছবির শুটিংয়ের সময় দু’জনের প্রেমে পড়ে যান। তাদের বিয়ের গল্প হার মানাবে ছবির চিত্রনাট্যকে। ১৯৭৩ সালে চারহাত এক হয় অমিতাভ-জয়ার। কিন্তু সেই বিয়ের নেপথ্য়ের গল্পটা রোমহর্ষক।
‘জঞ্জির’ ছবির সাফল্যের জেরেই সাত পাক ঘুরেছিলেন অমিতাভ-জয়া। তাও বাধ্য হয়ে। অমিতাভ বচ্চনের পুরোনো এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন,’ জঞ্জির সফল হলে প্রথমবার বন্ধুরা মিলে লন্ডন ঘুরতে যাব ঠিক করেছিলাম। বাবুজি প্রশ্ন করেছিল কারা যাচ্ছো? জবাব শোনার পর নির্দেশ এল-আগে ওকে (জয়া) বিয়ে কর তারপর ঘুরতে যাও, আমিও বাধ্য ছেলের মতো বাবুজির কথা মেনে নিলাম।’