বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য চীনের বিশেষজ্ঞদের মূল দল আজ মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছাবে। এছাড়া যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক টিম আসবে আগামীকাল বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশের একটি গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের একজন সদস্য।
এর আগে দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম জিয়াকে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ ছাড়া বিদেশে নেয়ার সুযোগ নেই। ডাক্তাররা যে চিকিৎসা দিচ্ছেন, সেটি উনি গ্রহণ করতে পারছেন।
তবুও বিদেশে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি আছে কি না মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের পরামর্শ নেয়া হচ্ছে। যুক্তরাজ্য থেকে এসে বিশেষজ্ঞরা তাকে দেখবেন। দেখার পরে উনাকে যদি বিদেশে নেয়ার প্রয়োজন হয় বা বিদেশে নেয়ার মতো অবস্থায় আছেন বলে মনে করেন, তখন উনাকে বিদেশে নেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া আছে। সর্বোচ্চটা মনে রাখতে হবে রোগীর বর্তমান অবস্থা এবং মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শের বাইরে কোনো কিছু করার সুযোগ এই মুহূর্তে আমাদের নেই।’
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দি ছিলেন। এরপর করোনাকালে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ায় সরকার। যদিও চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ যেতে দেয়া হয়নি।
খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত বছরের ৫ আগস্টে গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন তিনি।
এরপর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে। সবশেষ গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিএনপি চেয়ারপাসনকে। এরপর থেকে তিনি সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে রয়েছেন বলে জানিয়ে আসছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ হোসেনসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা।
আইকে/এসএন