হোমি আদাজানিয়ার পরিচালনায় ‘ককটেল’ ছবির আধ্যাত্মিক সিক্যুয়েল তৈরি হতে চলেছে, যেখানে প্রধান ভূমিকায় থাকছেন শাহিদ কাপুর, ক্রিতি স্যানন ও রশ্মিকা মন্দানা। ছবির মূল আকর্ষণ হওয়া উচিত প্রেম, হৃদয়ভাঙা সম্পর্ক ও বন্ধুত্বের সূক্ষ্ম আবহের উপর। কিন্তু অনলাইন আলোচনায় তা প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে শুধুই বাহ্যিক চেহারা নিয়ে জল্পনা ও গুজবের কারণে।
ক্রিতি স্যাননের লুক নিয়ে ভাইরাল পোস্ট থেকে শুরু করে ‘ওয়ার ২’-তে কিয়ারা আডভানির ভিজ্যুয়াল নিয়ে তৈরি উত্তেজনা—এ ধরনের নজরদারি বারবার নারীদের কেবল চেহারা দিয়ে বিচার করার সংস্কৃতিকে প্রমাণ করে। ২০২৫-এও, অভিনেত্রীরা প্রায়শই তাদের অভিনয় ও কাজের চেয়ে ভিজ্যুয়াল আকর্ষণের মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত হচ্ছেন।
যদিও মূল ‘ককটেল’-এ দীপিকা পাডুকোনের বিচিত্র দৃশ্য সাহসী ছিল, তা চরিত্র ও গল্পের প্রেক্ষাপটে ছিল। নতুন এই বাহ্যিক নজরদারি মূল কাহিনির মর্মকে হারিয়ে ফেলছে। তাই আমাদের আলোচনাকে ফিরিয়ে আনতে হবে যেখানে হওয়া উচিত—গল্প, অভিনয়, এবং পরিচালকের ভিশনের দিকে। ‘ককটেল ২’ দর্শকের হৃদয় স্পর্শ করার ক্ষমতা রাখে, যদি আমরা এটি কেবল চেহারা নয়, পুরো কাহিনির আলোকে দেখতে দিই।
আইকে/এসএন