কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা আজও অভিনয়ের অন্যতম উজ্জ্বল মুখ। আজ অভিনেত্রী ৬৬ বছরে পা রাখলেন। এই বয়সেও তিনি চিরসবুজ, প্রাণবন্ত ও অনবদ্য হয়ে আছেন দর্শকের অন্তরে। কাজের প্রতি তার নিষ্ঠা এবং শিল্পের প্রতি ভালোবাসা আজও তাকে আলাদা করে রেখেছে শোবিজে।
১৯৫৯ সালের ২ ডিসেম্বর ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সুবর্ণা। তার বাবা ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা প্রয়াত গোলাম মুস্তাফা। তার অনুপ্রেরণাই ছোটবেলা থেকেই সুবর্ণাকে যুক্ত করে সংস্কৃতির জগতে।
সত্তরের দশকে নাট্যকার সেলিম আল দীনের নাটক ‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’ দিয়ে মঞ্চে তার অভিনয়যাত্রা শুরু। এরপর ১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী পরিচালিত ‘ঘুড্ডি’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। ১৯৮৩ সালের ‘নতুন বউ’ এবং পরের বছর ‘নয়নের আলো’ ছবি দুটোতে অভিনয় করে তিনি জনপ্রিয়তার শিখরে ওঠেন। ‘নতুন বউ’ ছবির জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পান।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে আছে ‘লাল সবুজের পালা’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘গহীন বালুচর’, ‘গণ্ডি’ ইত্যাদি।
টেলিভিশন নাটকেও তিনি ছিলেন সমান সফল। ১৯৯০ সালে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে মুনা চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। এরপর ‘আজ রবিবার’ নাটকেও তার অভিনয় দর্শকের হৃদয়ে স্থায়ী হয়ে আছে।
দীর্ঘ অভিনয়জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি পেয়েছেন একুশে পদকসহ বহু সম্মাননা।
অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতেও যুক্ত সুবর্ণা মুস্তাফা। ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
ব্যক্তিজীবনে সুবর্ণা মুস্তাফা প্রথমে অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদির সঙ্গে দুই দশকেরও বেশি সময় সংসার করেছেন। পরে নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদকে বিয়ে করেন।
জানা গেল, সাদামাটাভাবে থাকতে পছন্দ করা এই গুণী অভিনেত্রী এবারও জন্মদিনে কোনো আনুষ্ঠানিকতা রাখেননি। ঘরোয়া আয়োজনেই কেক কেটে উদযাপন করছেন দিনটি। সঙ্গে আছেন স্বামী বদরুল আনাম সৌদ এবং ঘনিষ্ঠ ক’জন।
আরপি/টিকে