টলিপাড়ায় আবারও সম্পর্ক ভাঙার কানাঘুষো। পরিচিত দুটি নাম ফিরিয়ে এনেছে আগের সব জল্পনা। তৃণা সাহা আর নীল ভট্টাচার্যের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নেটপাড়া যেমন কৌতূহলী, তেমনই উত্তেজিত। কারণও স্পষ্ট। দুজনেই হঠাৎ ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে আনফলো করেছেন। আর এই একটাই পদক্ষেপ নতুন করে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে বিচ্ছেদের খবরকে।
এমন গুঞ্জন নতুন নয়। ২০২১ সালে বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতেই শোনা গিয়েছিল তাঁদের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। দুজনেই তখন কাজের চাপ, ব্যস্ততার নানা ব্যাখ্যায় সেই শব্দ তরঙ্গকে নরম করেছিলেন। এ বারও কি সে রকমই কিছু, নাকি ঘটছে আরও গুরুতর কিছু—সেই প্রশ্নেই সরগরম চারদিক।
মঙ্গলবার সকালেই অনুরাগীদের চোখে পড়ে আনফলো করার বিষয়টি। মুহূর্তেই শুরু হয়ে যায় নানা বিশ্লেষণ। কেউ বলছেন সম্পর্ক টলমল, কেউ আবার ধারণা করছেন এটা হয়তো সাময়িক দূরত্ব। কিন্তু নীলের বক্তব্য ইঙ্গিত দিল আরও ধোঁয়াশার দিকে। এক বাংলা সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ব্যক্তিগত বিষয়ে তিনি এক শব্দও বলতে চান না। তৃণার দিক থেকেও এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া নেই।
তারপরেও কিছু অদ্ভুত দিক চোখে পড়ে। নীলকে আনফলো করলেও তৃণার সোশালে তাঁর সঙ্গে কাটানো পুরনো মুহূর্তগুলোর ছবি এখনও রয়েছে। সম্পর্ক যদি সত্যিই ভাঙনের পথে হতো, সেগুলো কি থেকে যেত? নাকি এটাই ইঙ্গিত যে সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি?
এদিকে দুজনেই কাজ নিয়ে ব্যস্ত। তৃণার ‘পরশুরাম’ টিআরপি তালিকায় একেবারে উপরে। নীল ‘অমরসঙ্গী’ শেষ করে লম্বা সময় কাটিয়েছেন মুম্বইয়ে। ব্যক্তিগত সময় কমে গেলে সম্পর্কেও প্রভাব পড়ে, এমনটাই বলছেন অনেকে।
শেষ কথা, এই গুঞ্জন কতটা সত্যি আর কতটা অতিরঞ্জন—তার উত্তর এখনই পাওয়া যাবে না। আগের মতোই যদি সব শেষে মিলিয়ে যায়, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আবার যদি না মেলে, তাহলেও নেটপাড়ার আলোচনার ঝড় থামবে না।
এসএন