পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে আপিল শুনানি চলছে

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপসহ বেশ কয়েকটি ৫৪ বিষয় পরিবর্তন করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি চলছে। আজ সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূইয়া।

এর আগে ১৩ নভেম্বর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দেন আপিল বিভাগ।

এদিকে গত ২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলে পক্ষভুক্ত হন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর আগে ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলসহ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে আনা কয়েকটি বিষয় অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সংবিধানে গণভোটের বিধান ফিরিয়ে এনেছেন আদালত।

আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, গণতন্ত্র হচ্ছে আমাদের সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশ। এই গণতন্ত্র বিকশিত হয় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচনে তাতে জনগণের ইচ্ছার কোনো প্রতিফলন হয়নি।

দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের আত্মবিশ্বাস জনগণের মধ্যে জন্ম নেয়নি। যার ফলশ্রুতিতে হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান। রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল এবং এটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশে পরিণত হয়েছে।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন, রিটকারী সুজনের বদিউল আলমের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া। বিএনপির পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল। জামায়াতের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী। ইনসানিয়াত বিপ্লবের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। চার আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার নিশাত মাহমুদ, ইন্টারভেনর হিসেবে ছিলেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ। 

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে আমার নামে মামলা হয়েছে: শিশির মনির Dec 07, 2025
দোয়া কবুলের ৩টি সময় | ইসলামিক টিপস Dec 07, 2025
img
বড়পর্দায় ফিরছেন ওপার বাংলার অভিনেতা আরিয়ান Dec 07, 2025
img
বেগম খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স আসছে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় Dec 07, 2025
img
২০২৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ: সারাহ কুক Dec 07, 2025
img
৩০ কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার পরিচালক বিক্রম ভাট Dec 07, 2025
img
খালেদা জিয়ার সিটিস্ক্যান সম্পন্ন, রিপোর্ট স্বাভাবিক: মেডিকেল বোর্ড Dec 07, 2025
img
প্রতি কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমলো ৩০ টাকা Dec 07, 2025
img
খালেদা জিয়া সংগ্রাম, সাহস ও গণতন্ত্রের প্রতীক : কবীর আহমেদ ভূইয়া Dec 07, 2025
img
আমিরুলের আবারও হ্যাটট্রিক, দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫-৩ গোলে হারাল বাংলাদেশ Dec 07, 2025
img
ব্যাটে ও বলে ব্যর্থ সাকিব, তবুও জিতল তার দল Dec 07, 2025
img
অধ্যাদেশ না পাওয়া পর্যন্ত ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চালানোর ঘোষণা Dec 07, 2025
img
অখিল আক্কিনেনির প্রশান্ত নীলের সঙ্গে সাক্ষাৎ, নতুন ছবির গুঞ্জন Dec 07, 2025
img
৭ ডিসেম্বর মোংলা ও সুন্দরবন হানাদার মুক্ত দিবস Dec 07, 2025
img
‘অতিরিক্ত প্রস্তুতি’ কে ইংলিশদের হারের কারণ বললেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম Dec 07, 2025
img
শর্তসাপেক্ষে ঢাকায় আসছে ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি Dec 07, 2025
img
ধেয়ে আসছে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ ‘পরশ’ Dec 07, 2025
img
যেসব খেলার মাঠ দিয়েছিলাম সব দখলে নিয়েছে আ. লীগ : মির্জা আব্বাস Dec 07, 2025
img
নেতানিয়াহুকে ক্ষমা করার জন্য ট্রাম্পের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান Dec 07, 2025
img
সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ে ৪৮৯ পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত Dec 07, 2025