প্রশান্ত নীলের নতুন ছবি ড্রাগন নিয়ে টলিউডে এখন তুমুল উত্তেজনা। কারণ একটাই-এবার নিজের সীমাকে নতুন করে পরীক্ষা দিতে চলেছেন এনটিআর জুনিয়র। বাজেট, স্কেল বা প্রযুক্তি নয়, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু তিনি নিজেই। ছবিটির সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সব অ্যাকশন দৃশ্যে তিনি শরীরি ডাবল ব্যবহার করবেন না-সব স্টান্ট নিজের শরীরেই করবেন। সিদ্ধান্তটি যেমন সাহসী, তেমনি ঝুঁকিপূর্ণও।
ডিসেম্বর জুড়ে রাতভর শুটিং হবে রামোজি ফিল্ম সিটিতে। তিন সপ্তাহের এই টানা রাতের কাজ ছবিটির সবচেয়ে বিপজ্জনক অ্যাকশন ব্লকের জন্য। যেসব শটকে ঘিরে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এনটিআরের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দুঃসাহসী দৃশ্য এগুলোই। প্রতিটি স্টান্টে দরকার হবে নিখুঁত মনোযোগ, শারীরিক সহনশীলতা আর মানসিক দৃঢ়তা।
অ্যাকশন ঘরানায় যেমন বাস্তবতার প্রতি ঝোঁক দেখা যাচ্ছে এখন, ঠিক তেমনই নিজের সীমারেখা ভেঙে তারকারা আরও বেশি করে নিজস্ব স্টান্ট করছেন। এক সূত্র বলেছে, বিশ্বের নামী তারকারা যেমন নিজেরাই ঝুঁকি নেন, এখন তারাও যেন সেই জায়গায় এসে দাঁড়াচ্ছেন। এনটিআরও সেই চেতনাকেই ধারণ করছেন-চাইছেন বাস্তব ঝুঁকি, বাস্তব উত্তেজনা আর বাস্তব শরীরী ভাষা পর্দায় ফুটে উঠুক।
আগ্রহের জায়গা আরও একটি। এই অ্যাকশন দৃশ্যগুলো নিয়ে এনটিআর তার পরিবারকেও কিছু জানাননি। তাঁদের দুশ্চিন্তা এড়াতে ঝুঁকির মাত্রা গোপন রাখছেন। ফলে উত্তেজনার পাশাপাশি রয়েছে এক ধরনের নীরব চাপও।
কেজিএফ ও সালারের নির্মাতা প্রশান্ত নীল এই ছবিকে ভারতীয় অ্যাকশন ঘরানার নতুন মাইলফলক হিসেবে দাঁড় করাতে চাইছেন। স্কেল, প্রস্তুতি আর দুঃসাহস-সব মিলিয়ে ড্রাগন এখন থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। আর ডিসেম্বরে এই শুটিং ব্লকই নাকি ঠিক করে দেবে ছবির গ্রাফ, এমনকি এনটিআরের ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায়ের অবস্থানও।
আইআর/টিকে