বাংলাদেশের লক্ষ্য ১২২-
শুরুতে ১৩০ থেক ৪০ এর দিকে রান যাবে যাবে মনে হচ্ছিলো অজিদের সংগ্রহ। তবে তা মনে হওয়াতেই রেখে দিলো মুস্তাফিজ-শরিফুলরা। নিয়ন্ত্রিত ও দুর্দান্ত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২১। শেষ ওভারে মুস্তাফিজ দিয়েছিলেন ১১ রান। ইনিংসে এটাই তার খরুচে ওভার ছিলো একমাত্র। বাকি তিন ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে দিয়েছিলেন ১২ রান।
শরিফুলের আঘাত-
শরিফুল ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ২৭, নিয়েছেন ২ উইকেট। নিজের শেষ ওভারে এসে ৫ রান দিয়ে টার্নারকে আউট করলেন তিনি।
জোড়ায় ফেরালেন ফিজ-
অ্যাগারকে ফেরালেন শূন্য রানেই। পরপর দুই বলে দুই উইকেট ফিজের। আগের বলে কাটারে বোকা বানালেও বোলিংয়ে এনেছেন ভেরিয়েশন। বাউন্সে পরিবর্তন, অ্যাগারের গ্লাভসে বল আর সোহানের হাতেই ক্যাচ।
দুরন্ত ফিজে ওয়েডের বিদায়-
অজিদের স্কোরটা আরও কমিয়ে আনার কাজটা করলেন মুস্তাফিজ। মার্শকে ফেরানোর পর ব্যাটিংয়ে গভীরতা কমেই এসেছে এমনিতে অজিদের। এরপর যে একজন বাকি ছিলো তাকেই ফেরালেন ফিজ। লেগ সাইডটা খালি রেখেই ফিজের কাটার ফাইন লেফে খেলতে গিয়েছিলেন তিনি। মিস করলেন।
শরিফুলের ধাক্কা-
সতেরো ওভারে বল করতে এসে পিচ কামড়ে ধরে থাকা মার্শকে দুর্দান্ত সুইংয়ে ক্যাচ বনালেন শরিফুল। লেগ স্টাম্প থেকে বেরিয়ে অফে বেরিয়ে যাওয়া একটি ডেলিভারিকে মিড উইকেট দিয়ে খেলার চেষ্টা করেছেন মার্শ। কিন্তু কিনারা লেগে সোহানের হাতেই ক্যাচ হলেন তিনি। ৪৫ করা মার্শ ভয়ংকর হতে পারতো বাংলাদেশের জন্য।
কাটা সরালো সাকিব
সময়মতো ব্রেক ত্রুটা দিতে জানেন সাকিব। ম্যাচের মেজাজ বুঝে বলও করতে জানেন। কাটা হয়ে থাকা মার্শ-হেনরিকসের ৫৭ রানের জুটিটাই ভাঙলেন বোলিংয়ে এসে। নিজের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে এসে তুলে নিলেন ২৫ বলে ৩০ করা হেনরিকসকে। কম গতির বলটাকে সুইপ খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। মিস করলেন, বোল্ড হলেন। চার ওভারে ২২ রান দিয়ে সাকিব নিয়েছেন ১টি উইকেট। যথাসময়ে এই উইকেটটা ছিলো বাংলাদেশ দলে প্রাণের সঞ্চার ঘটানোর মতনই।
কাটা হয়ে আছে মার্শ-হেনরিকস-
৩১ রানে দুই উইকেট হারিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া। এরপর থেকে অজি ইনিংসটার রানের গতিটা সচল রাখারা কাজ করে যাচ্ছে মার্শ-হেনরিকস। ৫০ এর বেশি জুটি গড়ে দাঁড়িয়ে আছে দু'জনই। তাদের সরাতে পারলে কিছুটা স্বস্তি ফিরবে টাইগার শিবিরে।
৬০ বলে ৫৩-
৫ এর আশপাশেই রানরেট। উইকেটে আছেন মিচেল মার্শ ও মইজেজ হেনরিকস। এ দু'জনের জুটিটা অজির জন্য আশা হয়ে আছে। বাংলাদেশের সামনে যা কাটা।
অজিদের পাওয়ার প্লে-
২ উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লে-তে সংগ্রহ ৩২ রান। আগের ম্যাচে ৩ উইকেটে যা ছিলো ২৮ রান।
ফিজের স্লোয়ারে সাজঘরে ফিলিপ-
আগের ওভারে রিভিউ নিয়ে জীবন পেলেও এবার আর পেলো না ফিলিপ। দরকারও পড়েনি আম্পায়ারের কাছে যাওয়ার। ফিজের স্লোয়ারেই ফিরতে হলো তাকে। শর্ট লেন্থের বল বুঝতেই পারেনি ফিলিপ। লেগ স্টাম্প ছেড়ে কিছুটা অফে এসে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি কিন্তু মিস করেছেন। বলে লেগেছে স্টাম্পে।
রিভিউ হারালো বাংলাদেশ-
নাসুমের বলে আবেদন। কিছুটা পেছনে গিয়ে খেলতে যাওয়া বলটি ফিলিপের পায়ে লাগে। আবেদন নাকচ করলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। আল্ট্রা-এজে ব্যাট স্পর্শ করে বলটি।
মেহেদির শুরু-
আবারও ভালো শুরু এনে দিলেন মেহেদি। অফ সাইডের বাইরের পর লেগে খেলতে গিয়েছিলেন তিনি তবে ব্যাটের কিনারা লেগেই মিড অফে ক্যাচ হলেন তিনি। টানা দুই ম্যাচে ক্যারিকে তুলে নিলেন মেহেদি।
রিয়াদের টস ভাগ্য-
টানা ৫ বার টস হারলো অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
বাংলাদেশ একাদশ
উইনিং কম্বিনেশন নিয়েই মাঠে নামছে বাংলাদেশ। দরকার পড়েনি পরিবর্তনের।
মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম, সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান (উইকেটকিপার), আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ-
পরিবর্তন নেই অস্ট্রেলিয়া একাদশে।
অ্যালেক্স ক্যারি, জশ ফিলিপি, মিচেল মার্শ, ময়জেস হেনরিকস, ম্যাথু ওয়েড (অধিনায়ক, উইকেটকিপার), অ্যাশটন টার্নার, অ্যাশটন অ্যাগার, মিচেল স্টার্ক, অ্যান্ড্রু টায়, অ্যাডাম জাম্পা, জশ হ্যাজলউড।
টসে আবারও অজি-
টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠালো অস্ট্রেলিয়া।