টানা দুই ম্যাচে অজিদের হারালো বাংলাদেশ । আফিফ - সোহানের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেট ও ৮ বল হাতে রেখে জয় নিয়ে সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেলো টাইগাররা। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো ম্যাথু ওয়েড। শুরুর ৬ ওভারে ক্যারি-ফিলিপের উইকেট তুলে নিয়ে চাপ তৈরি করে বাংলাদেশি বোলাররা। পরে হেনরিকস ও মার্শ প্রতিরোধ তৈরির চেষ্টা করে। ৫২ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়ে যখন চিন্তার ভাজ টাইগারদের কপালে পড়ে। চাপটা সরাতেই সাকিবের আগমন যেন! হেনরিকসকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ৪৫ করা মিচেল মার্শকে ফেরান শরিফুল। তারপর থেকে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২২। শুরুটা সুখকর ছিলো না বাংলাদেশের। সাকিবের চেষ্টা, মেহেদির ভাগ্যে রান দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৬৭ রান। পরেরটা শুধু আফিফ আর সোহানের নামে। দুর্দান্ত ব্যাটিং প্রদর্শন করেন এ দু'জন খেলোয়াড়। ৫৬ রানের জুটি গড়ে দলকে এনে দেন অসাধারণ জয়।
চারের মারে জয়-
লাগতো ৯ বলে তিন রান। কিন্ত তাড়াতাড়ি করেই জিততে হবে আফিফের। বোলিংয়ে হতে পারে বিশ্বমানের পেসার। উইকেটে যতক্ষন ছিলেন বোলারদের বুঝে শুনে খেলেছেন। উইলো ঘুরিয়েছেন চারদিকে। জয়সূচক চারটি মারেন হ্যাজলউডকে। বাউন্স বলে কিপার উপর দিয়েই চার মারলেন।
জয়ের প্রান্তে-
দুই চারে জয়ের ধার প্রান্তে বাংলাদেশ। টাইয়ের নাকাল বলকে পাত্তা না দিয়েই মিড অনে তুলে দিলেন বাউন্ডারির দিকে। পরের বাউন্স বলে হালকা এইজে পেছনে বাউন্ডারি পেলেন। দরকার আর চার।
ষ্টার্ককে নিশানা বানালো-
তৃতীয় ওভার করতে আসা ষ্টার্ক থেকেই রান বের করা চেষ্টা সোহান-আফিফের। প্রথম বলেই ডিপ স্কোয়ারে ফ্লিক সোহানের। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক রোটেট করলেন। আফিফও এবার ঘুরালেন। চোখ ধাঁধানো শটে কাভারের উপর দিয়েই চারের মার। সেই ওভারে আদায় করেন ১৩ রান।
আশা জাগানিয়া জুটি-
মেহেদির উইকেটের সাথে স্কোরবোর্ডের দৃশ্যটা ছিলো ৬৭ রানে ৫ উইকেট। উইকেটে আসলেন সোহান, সাথে আফিফ। ১৬ ওভার শেষে রানটা এখন ১০৩। উভয়ের জুটি দাড়ালো ৩৬ রানের, আশা দেখাচ্ছে ভালো কিছুর।
আফিফের সাহসী ছক্কা-
বলের লাইনে এগিয়ে এলেন। টাইয়ের বলটাকে ফ্লিক করলেন ডিপ মিড উইকেটে। উড়তে থাকা বলকে ধরতে ছুটলেন ক্যারি, ধরেও ফেলেছিলেন তবে বাউন্ডারির ভেতরে পড়ে গেলেন তিনি। ছুড়ে ফেলেছিলেন কিন্তু বলটা তার সাথেই বাউন্ডারির বাইরেই পড়ে যায়। সাহসী শট ছক্কা হয়ে গেলো।
জাম্পা নিলেন মেহেদিকে-
কয়েকবার সুযোগ পাওয়ার পরও রানটা বড় করতে পারলেন না মেহেদি। জাম্পার বলে এগিয়ে এসে মারতে চেয়েছিলেন। বলের লাইন মিস করে স্টাম্পিং হন তিনি। আউট হওয়া আগে ২৪ বলে ২৩ রান করেন তিনি।
ষাটে ষাট-
চার উইকেট হারিয়ে ৬০ রান বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে। এর মধ্যেই সাকিব-মাহমুদউল্লাহও ফিরেছেন।
শূণ্য অধিনায়ক-
অ্যাগার কয়েকবার সুযোগ তৈরি করেছিলেন আগের ওভারগুলোতে। ফিল্ডিং ব্যর্থতায় পারলেন না উইকেটগুলো নিতে। কিন্তু এবার বলটা ছিলোই না আউটের। ভাগ্যদোষে আউট হলেন রিয়াদ। বেরিয়ে যাওয়া বলটা অফে খেলতে গিয়ে এইজে লেগে স্টাম্পে। অলস শটও বলা যেতে পারে এটিকে।
সাকিব থামলেন নাকালে-
এন্ড্রু টাইয়ের স্লোয়ার ইয়র্কারে ঘায়েল সাকিব। উইকেটে এসে ষ্টার্কের তিন বলে তিন চার। একটি ব্যাটের কিনারা লেগে পেছনে। ব্যাটিংয়ে মেহেদীর সাথে দলের হাল ধরার চেষ্টা ছিলো সাকিবের। ৩২ বলে ৩৭ রানের জুটি, একা করেছেন সেই জুটিতে ২২ রান। ক্রস ব্যাট চালিয়ে টাইয়ের বলে ফিরলেন ১৭ বলে ২৬ রানে।
মেহেদির দু'বার জীবন-
পঞ্চম ওভারে অ্যাগারের বলে মিড উইকেটে উড়িয়ে মারলেন মেহেদি। দৌড়ে পৌছাতে পারলেন না টাই। যদিও এই ওভারে তাকে লং অফে আউট করার সুযোগ পেয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া। এক ওভার পর ঠিক আবারও সেই লং অফে। এবারও জীবন পেলেন মেহেদি
ইঞ্চিতে বাঁচলেন সাকিব-
লেগ বিফোরের আবেদন অ্যাগারের। আঙ্গুল উচিয়ে আউটের সংকেত। সাকিবও রিভিউ আবেদন করলেন সাথে সাথে। ব্যাট মিস করে প্যাডে , মনে হচ্ছিলো সোজা হিট করবে লেগ স্টাম্পে। রিভিউ সফল হলো সাকিবের, ইঞ্চিতেই জীবন পেলেন তিনি।
নাইমও ফিরলেন-
আগের ম্যাচে উড়ন্ত শুরু করা নাইম এবার পারলো না। হ্যাজলউডের রাউন্ড দ্যা উইকেট থেকে করা বলে লাইন মিস করেছেন। ফুল লেন্থের বলটা অফ স্টাম্পে গিয়েই লাগে। ২২ রানে ২ উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
ব্যর্থ সৌম্য, শূণ্য সৌম্য-
কম রান তাড়া করতে নামা দলকে পেস আক্রমণে চেপে ধরেছে শুরু থেকেই। স্লো, লো পিচে ভয়ংকর সব বাউন্সার দিয়ে আসছেন ষ্টার্ক-জশরা। ইনিংসে নিজের দ্বিতীয় বলের মুখোমুখি। ষ্টার্কের গতির ইয়র্কার বুঝতেই পারলেন না। সোজা বোল্ড হয়ে ফিরলেন শূণ্য রানে।
ভয়ংকর বাউন্সার-