চন্দ্রিমা উদ্যানের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারের প্রবেশ গেটে পুলিশ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানসহ বেশকয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।
বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। সেখানে আমান উল্লাহ আমান পৌঁছার পর শুরু হয় সংঘর্ষ। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা গেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের। জবাবে টিয়ারশেল ছুড়তে দেখা যায় পুলিশকে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সেখানে থাকা বিএনপি নেতারা জানান, আমানসহ কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ জন পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন। নবগঠিত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব ও ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
জানা যায়, ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মীরা বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি ছিল।
এক পর্যায়ে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বানিজ্য মেলার মাঠ দিয়ে সরিয়ে দেয়।
বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি জিয়ার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা দিতে গেলে এই ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, এখানে নাশকতার তথ্য ছিল বলেই তাদেরকে জিয়ার মাজারে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এ নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এসময় পুলিশকে টিয়ারসেল ও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করতে দেখা যায়।