আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর জন্য তৈরি করা মঞ্চ ভেঙে দিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এসব ভুঁইফোড় সংগঠনের অনুষ্ঠানে অতিথি না হতে কেন্দ্রীয় নেতাদেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শনিবার মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর জন্য মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। বিষয়টি নজরে আসার পর তা সরানোর নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে সরিয়ে নেয়া হয় মঞ্চের নির্মাণসামগ্রী।
এরপর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে কিছুক্ষণ আগে খবর পেলাম প্রচার লীগ নামে এক ভুঁইফোড় দোকান, প্রতিষ্ঠালগ্নের কী আয়োজন করেছে আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ। মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের ব্যাপারে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু লীগ আর আওয়ামী যখন যুক্ত হয়, তখন এখানে আমাদের সংশ্লিষ্টতা এসে যায়। এখানে আমাদের ভাবমূর্তির সঙ্গে বিষয়টি এসে যায়, কারণ এসব দোকান অনেকে খুলে থাকে চাঁদাবাজির জন্য, এগুলো আসলে চাঁদাবাজির প্রতিষ্ঠান।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সবাই করে তা না, কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, এরা চাঁদাবাজিনির্ভর। চাঁদাবাজি পার্টি, এরা দলের নাম ভাঙায়। কাজেই এসব সংগঠনের কোনো প্রকার আয়োজনে, বৈঠকে, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হোক, যেটাই হোক, আমি আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের আহ্বান জানাব, কোনো অবস্থাতেই এসব সংগঠনের সভায় আপনারা আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থিত থাকবেন না, থাকতে পারেন না। এটা আমাদের পার্টির নীতি-কৌশলের বিরুদ্ধে,’ যোগ করেন তিনি।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের নামের সঙ্গে নাম জুড়ে ‘চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি সংগঠন বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ও বিদেশি শাখায় নেতা বানাতে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেয়। বিষয়টি নিয়ে গত ২৩ জুলাই সংবাদ প্রচার করে নিউজবাংলা। এরপরই ভুয়া সংগঠনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।