ভারতে নিয়ে শতাধিক মানুষের কিডনি বিক্রি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র অবৈধভাবে কিডনি কেনা-বেচা করত। চক্রের সদস্যদের মধ্যে কেউ ‘কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশন প্রয়োজন’ এমন বিত্তশালী রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। আবার কেউ প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র মানুষদের অর্থের বিনিময়ে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশনে প্রলুব্ধ করতেন। এরপর তারা সুযোগ বুঝে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে বিমানে অথবা কাউকে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পাঠাতেন।

কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য একজন রোগীর কাছ থেকে চক্রটি ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা নিত। বিপরীতে কিডনি ডোনারকে মাত্র ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিত। এজন্য অগ্রিম ২ লাখ টাকাও প্রদান করতো। কিন্তু ট্রান্সপ্লান্টেশনের পর কিডনি ডোনারদের প্রতিশ্রুতির অর্থ না দিয়ে উল্টো নানান ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হতো।


এভাবে শতাধিক মানুষের কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশন করেছে চক্রের মূল হোতা শাহরিয়ার ইমরান আহম্মেদ। ভারতে অবস্থানরত কিডনি কেনাবেচা চক্রের সঙ্গে যোগসাজশে তিনি এসব অপকর্ম করে আসছিলেন।

চক্রটির অন্যতম মূলহোতা ও সংশ্লিষ্ট ফেসবুক পেইজের এডমিন মো. শাহরিয়ার ইমরানসহ ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে এলিট ফোর্স র‍্যাব। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জয়পুরহাট ও ঢাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

Share this news on: