শরীয়তপুরে বিদ্রোহী প্রার্থীর বসতবাড়ী-ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগ

শরীয়তপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কার্যালয়, বসতবাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বিদ্রোহী প্রার্থী মজিবুর রহমান খান। বুধবার রাতে বিদ্রোহী প্রার্থী ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মজিবুর রহমানের বাড়ি, নির্বাচনী কার্যালয় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন আগামী ১১ নভেম্বর। নির্বাচনে ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান খান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মিজান মোহাম্মদ খান।

শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানা সূত্র জানায়, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিল। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিদ্রোহী প্রার্থী মজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী মিজান মোহাম্মদ ডোমসার বাজারে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করছিলেন। রাত আটটার দিকে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরই জেরে স্থানীয় বাজারে মজিবুর রহমান খানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। হামলাকারীরা তার বসতবাড়িতেও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় হামলাকারীরা মজিবুর রহমানের ১০-১২ জন সমর্থককে মারধর করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মজিবুর রহমান খান বলেন, ‘সন্ধ্যার পর ডোমসার বাজারে আমার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ১ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মী ও ভোটারদের নিয়ে আলোচনা করছিলাম। এসময় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা মিছিল নিয়ে এসে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। তারা আমার বসতবাড়ি ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে।

এব্যাপারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মিজান মোহাম্মদ খান বলেন, ‘আমার বেশ কিছু সমর্থক বাজারে যাচ্ছিলেন। এসময় তাদের উদ্দেশ্যে উস্কানিমূলক কথা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।’

Share this news on:

সর্বশেষ