সাফের আগের পাঁচ আসরে মাত্র একটিতে ফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। নেপালের সে অভিজ্ঞতা ছিল চারবারের। ‘হিমালয়কন্যা’ নেপালের সঙ্গে এর আগে আট সাক্ষাতে একবারের জন্যও জয়ের মুখ দেখেনি সাবিনা-কৃষ্ণারা।
তাদের বিপক্ষে, তাদের মাটিতেই কিনা অবিশ্বাস্য এক জয় ছিনিয়ে এনেছেন তারা। মিটিয়েছেন ট্রফি জয়ের ক্ষুধা। গর্বিত করেছেন পুরো জাতিকে, ভাসিয়েছেন আনন্দে। সেই বীরত্বপূর্ণ মেয়েরা দেশ ফিরছেন। বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে করে ঢাকায় পা রাখবে নারী দল।
তাদের ঘরে ফেরা রাঙাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। শিরোপা উদ্যাপনে ছাদখোলা বাসের ব্যবস্থা করছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
প্রায় দেড় যুগ আগে শুরু হওয়া বাংলাদেশের নারী ফুটবল একটু একটু করে এগিয়ে এখন চারদিকে ডানা মেলে উড়ে বেড়াচ্ছে। কাঠমান্ডুর আকাশে সেটি ডানা মেলে উৎসবের রেণু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দেয়। নেপালের দশরথ স্টেডিয়াম বাংলাদেশের জন্য এখন বেশ পয়মন্ত বলা যায়।
ইতিহাসের পাতায় আলাদা করে লেখাও থাকবে। ছেলেরা এই ভেন্যুতে ১৯৯৯ সালে সাফ গেমসে (এসএ গেমস) স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সোনার পদক জিতেছিল। আলফাজ আহমেদের গোলে স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে এসেছিল পদক। এবার মেয়েরা ২৩ বছর পর লাল-সবুজ পতাকা উড়ায় সেখানেই।
মেয়েদের ফুটবলে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে সাফল্য এলেও জাতীয় দল সেভাবে কোনোকিছু করে দেখাতে পারছিল না। সবার দৃষ্টি ছিল তাই কাঠমান্ডুর আসরে। আশা ছিল, কিছু একটা করে দেখাবে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচ থেকে নকআউট- সবক’টিতেই লাল-সবুজ দল আধিপত্য দেখিয়েছে। অপরাজিত থেকে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন!