ক্যামেরুনের বিপক্ষে সুইসদের জেতালেন এক ক্যামেরুনিয়ান

বল দখল, আক্রমণ কিংবা গোলে শট— ক্যামেরুন ও সুইজারল্যান্ডের খেলায় গোল ব্যতীত অন্য প্রায় সব পরিসংখ্যানই জানাবে একটি কথা। সেটা হল, সুইসরা ১-০ গোলে পূর্ণ পয়েন্ট তুললেও মাঠের খেলাটি খেলেছে আফ্রিকান দেশটি। এমনকি সুইসদের জয়সূচক গোলটি যিনি এনে দিয়েছেন, তিনিও একজন ক্যামেরুনিয়ান।

আল জানুব স্টেডিয়ামে নিজেদের জালে জড়ানো গোলে নয়, সুইজারল্যান্ড জিতেছে নিজেদের ফরোয়ার্ড ব্রিল এমবোলোর একমাত্র গোলে। যিনি ১৯৯৭ সালে ক্যামেরুনের রাজধানীতে জন্ম নিয়েছেন। সেখান থেকে ফ্রান্স হয়ে সুইসমুলুকে থিতু হয়েছেন। জন্মভূমির বিপক্ষে বৈশ্বিক আসরে গোলও পেয়ে গেলেন। তবে জন্মভিটের সম্মানে উদযাপনে মাতেননি।

বৃহস্পতিবার বিকেলের ম্যাচটিকে অনেকটা এভাবে বলা যায়— খেলল ক্যামেরুন, গোল পেল ক্যামেরুনিয়ান এবং সবশেষ জিতল সুইসম্যানরা। ম্যাচ বিশ্লেষণও বলছে ঠিক এমনই, ৫০ শতাংশ বল দখলে রেখে ক্যামেরুন নিয়েছিল সাতটি শট, গোলমুখে ছিল পাঁচটি। সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সোমেরের ভালোই পরীক্ষা নিয়েছেন রিগোবের্ট সংয়ের শিষ্যরা। বিপরীতে ছয়টি শটের তিনটি লক্ষ্যে রেখেছিল সুইস দলটি।

শক্তি ও র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা সুইসদের বিপক্ষে শুরু থেকেই চোখে চোখ রেখে লড়েছে ক্যামেরুন। আফ্রিকান দেশটির জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সোমের। দশ মিনিটে প্রথমবারের পর ২৫ মিনিটে আরেকবার ক্যামেরুনকে ব্যর্থ করেন তিনি। ৩১ মিনিটে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু ব্রায়ান এমবিমোর শট বামপাশে ঝাঁপিয়ে থামিয়ে স্কোরলাইন অক্ষত রাখেন সেই সোমের।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আকানজির সামনে সুযোগ আসলেও গোলশূন্য থেকে বিরতি যায় দুদল। দ্বিতীয়ার্ধের তিন মিনিটের মাথায় সুইসদের এগিয়ে নেন ব্রিল। জন্মভূমির বিপক্ষে গোল করে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এ সুইস-ক্যামেরুনিয়ান। জন্মভিটের সম্মানে দুহাত উপরে তুলে রাখেন কেবল। ব্রিল যেন বলতে চাইছিলেন, ‘আই অ্যাম সরি, ক্যামেরুন।’

পিছিয়ে পড়েও আক্রমণের দাপট কমাননি ক্যামেরুনিয়ানরা। এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিং কয়েকবার সুযোগ আনলেও জালে বল জড়াতে পারেননি। সুইসরাও পারেনি লক্ষ্যভেদ করতে। দুর্দান্ত খেলেও তাই হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ক্যামেরুনিয়ানদের।

Share this news on: