কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়ায় গহীন পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হাত থেকে অপহৃত শিক্ষার্থীসহ আট বাংলাদেশি বাসায় ফেরত এসেছে। চারদিন পর বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় অপহৃতরা টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া এলাকায় নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর ভোর ৪ টায় তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে টেকনাফ মডেল থানায় নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন,‘অপহরণ হওয়ার পর থেকে আমরা কয়েকটি পাহাড়ে ড্রোন উড়িয়ে অপহরণকারীদের শনাক্তসহ উদ্ধারে চিরুনি অভিযান চালিয়েছি। আমাদের চাপে পড়ে অপহরণকারীরা তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। আমরা ফেরত আসা অপহৃতদের চিকিৎসা শেষে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এর পেছনে যারাই জড়িত থাকুক কেউ রেহাই পাবে না।’
ফেরত আসা অপহৃতরা হলেন, জাহাজপুরা এলাকার বাসিন্দা রশিদ আহামদের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ, একই এলাকার ছৈয়দ আমিরের ছেলে মোস্তফা কামাল, মমতাজ মিয়ার ছেলে মো. রিদুয়ান, রুস্তম আলীর ছেলে সেলিম উল্লাহ, ছৈয়দ আমিরের ছেলে করিম উল্লাহ, কাদের হোসনের ছেলে নুরুল হক ও নুর মোহাম্মদ এবং রশিদ আহমদের ছেলে আবছার।
অপহ্নত ভাই হাবিব উল্লাহ জানান,‘অপহরণকারীরা চারদিন পর আমার ভাইসহ আটজনকে ছেড়ে দিয়েছে। রাত ৩টায় আমরা তাদের জাহাজপুরা বনিছড়া খাল থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করি। তাদের সবাইকে নির্মমভাবে মারধর করেছে অপহরণকারীরা। আর একদিন হলে হয়তো আমার ভাই মারা যেত। আমার ভাইসহ সবাইকে থানায় নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।’
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে টেকনাফের বাহারছড়ার জাহাজপুরা এলাকার একটি পাহাড়ঘেঁষা খালে মাছ ধরতে গেলে অস্ত্রধারী রোহিঙ্গাদের একটি দল ওই ৮ জনকে অপহরণের পর মুক্তিপণের জন্য অপহরণকারীরা অপহ্নত স্বজনদের থেকে প্রতিজনের জন্য দুই লক্ষ্য তিন লক্ষ্য টাকা দাবি করেছিল। পরে খবর পেয়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পাহাড়ে ড্রোনসহ চিরুনি অভিযান শুরু করে।