এবার মধ্যরাতে পোলট্রি বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এ অভিযানে পাকা রসিদ না থাকা ও দামে গরমিলসহ বেশকিছু অসংগতি ধরা পড়ে। তবে খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পাকা রসিদ দিচ্ছেন না পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (১ এপ্রিল) রাত ১২ টার পর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাঝরাতে হঠাৎ এ অভিযানে উঠে আসে বেশকিছু অসংগতি। এ সময় ব্যবসায়ীদের সচেতন করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
অভিযান সম্পর্কে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, খামারি থেকে ভোক্তা পর্যায়ে আসতে তিন থেকে চারবার হাতবদল হয়। এ হাত বদলের সময় কেউ অপচেষ্টা করলে খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়ে যায়। সেটি যেন না হয়, সে জন্য আমরা নিবিড়ভাবে বিষয়টি তদারকি করছি। আমরা চাই খামারি এবং ভোক্তা উভয়ে যেন সঠিক মূল্য পায়।
তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দাম বাড়া কিংবা কমার সঙ্গে তাদের লাভের অঙ্কের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বলছেন, যারা বাচ্চা উৎপাদন করে, যারা খাদ্য উৎপাদন করে তাদের কাঠামো ঠিক করে দেয়া উচিত। যারা ডিলার, খামারি তারাই জানে উৎপাদন খরচ কত আছে। আমরা কম দামে কিনতে পারলে কমে বেচি, বেশি দামে কিনলে বেশি দামে বেচি।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দাম বেশি হওয়ার কারণে উপযুক্ত সময়ের আগেই খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছে।
দামবৃদ্ধির জন্য মধ্যস্বত্বভোগীদেরকে দায়ী করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরও।
তবে এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলেন, করপোরেট হাউসগুলো শুধু মধ্যস্বত্বভোগীদের দোষ দিয়ে এড়িয়ে যান। এখন তো দাম নির্ধারিত হয়েছে। তাই শুধু মধ্যস্বত্বভোগীদের দোষ না দিয়ে সবাইকে নৈতিকতার মধ্যে আসার আহ্বান জানান তিনি।
মধ্যরাতে কারওয়ান বাজারে অভিযানের পর কাপ্তান বাজারেও অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।