কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে ভেসে আসা ট্রলার থেকে ১০ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার দুজন হলেন- বাইট্টা কামাল ও মাঝি করিম সিকদার। মঙ্গলবার বিকালে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এই ঘটনায় ট্রলারের মালিক নিহত শামসুল আলমের স্ত্রী রোকেয়া আক্তার সদর মডেল থানায় চার জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় বাইট্টা কামালকে ১ নাম্বার আর করিম সিকদার ৪ নাম্বার আসামি করা হয়।
এদিকে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার পেছনে মাদক চোরাকারবারি, পূর্ব শত্রুতা রয়েছে বলে সন্দেহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
এর আগে গত রবিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ট্রলার থেকে হাত-পা বাঁধা ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গভীর সাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে ফিশিং বোটটির কিছু অংশ ডুবে ছিল। পরে অপর একটি ট্রলার ওই ফিশিং বোটটিকে বিশেষ ব্যবস্থায় টেনে শনিবার সন্ধ্যায় নাজিরারটেকে নিয়ে আসে। ভাটার পর রবিবার সকালে কোল্ড স্টোর দেখতে গিয়ে মানুষের হাত-পা দেখা যায়। তখনই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এরপর ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতায় মরদেহগুলো উদ্ধার শুরু হয়।
১০ জনের মরদেহের মধ্যে আছে, মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে সামশুল আলম (২৩), শাপলাপুর ইউনিয়নের মিটাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), জাফর আলমের ছেলে সওকত উল্লাহ (১৮), মুসা আলীর ছেলে ওসমাণ গনি (১৭),
সাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ (১৪), মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে নুরুল কবির (২৮), চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৪), শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান (৩৫) ও চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে তারেক জিয়া (২৫)।