রিজার্ভ কমে আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে

রিজার্ভে খরা যেন কাটছেই না। দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ আবারও কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দিনের শুরুতে রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৯৯৩ কোটি ডলার। এরপর ব্যাংকগুলোর কাছে বিক্রি করা হয় ৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। ফলে দিন শেষে রিজার্ভ আরও কমেছে।

গত ৮ মে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে সাত বছর পর ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে ২৯ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল। পরে দুই দিনের মাথায় ১০ মে বিশ্বব্যাংকের বাজেট সহায়তার ৫০ কোটি ৭০ লাখ ডলার যোগ হওয়ায় রিজার্ভ বেড়ে ফের ৩০ বিলিয়ন ডলারের উপরে উঠে ৩০ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়ায়।

রিজার্ভের অন্যতম প্রধান দুই উৎস রফতানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ধীরগতির কারণে বৃহস্পতিবার সেই রিজার্ভ আবার ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার। এরপর ব্যাংকগুলোর কাছে বিক্রি করা হয় ৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। ফলে দিন শেষে রিজার্ভ আরও কমে ২৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বাজারে এখনো ডলারের ঘাটতি রয়ে গেছে। ডলারের চাহিদা যতটা, সরবরাহ তার তুলনায় কম। তাই প্রতিদিন ডলার বিক্রি করে জোগান দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আপাতত আর কোনো বিকল্প হাতে নেই।

২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হলে রিজার্ভ দ্রুত বাড়তে থাকে। বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় ওই সময় সব প্রবাসী আয় বৈধ পথে তথা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে আসে। আবার আমদানিও কমে যায়। ফলে রিজার্ভ বেড়ে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্ববাজারে জ্বালানিসহ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ে। ফলে বাড়ে দেশের আমদানি খরচও। তবে সেই তুলনায় বাড়েনি প্রবাসী ও রফতানি আয়। এই কারণে আমদানি দায় মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে। তারপর থেকেই দেশের রিজার্ভ কমতে থাকে।

Share this news on: