কৃষকদের জন্য স্মার্ট কার্ড চালুর পরিকল্পনা করছে সরকার। ইতিমধ্যেই প্রস্তুত হয়েছে খসড়া নীতি। ধারনা করা হচ্ছে, এই কার্ডের মাধ্যমে সরকারি ভর্তুকি ও অন্যান্য সহায়তা সহজেই পেতে পারবেন কৃষকেরা। এটি বাস্তবায়নের লক্ষে প্রস্তুত করা হয়েছে ‘কৃষক স্মার্ট কার্ড নীতি ২০২৫’ শীর্ষক একটি খসড়া নীতিমালা।
জানা গেছে, এই স্মার্ট কার্ড প্রকল্পের লক্ষ্য হবে কৃষকদের তথ্যভুক্ত করে একটি জাতীয় তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা। ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিটি নিবন্ধিত কৃষকের জন্য একটি ইউনিক প্রোফাইল ও নিবন্ধন নম্বর সংরক্ষণ করা হবে। মন্ত্রণালয় সুত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি আগের সরকার শুরু করেছিল এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এটি পর্যালোচনা করার পর খসড়া নীতি প্রস্তুত করা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই স্মার্ট কার্ড তৈরি ও বিতরণের প্রক্রিয়া হবে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির মতো। এর মাধ্যমে কৃষকরা বীজ, সার, কীটনাশকসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ সহজেই পেতে পারবেন। যা ফসল উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিপণনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। একইসঙ্গে কৃষিঋণ, টেকসই কৃষি চর্চার প্রসার, আবহাওয়া পূর্বাভাস, কৃষি পরামর্শ ও বাজার সংক্রান্ত তথ্যও পাওয়া যাবে এই স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “এটি একটি ভালো উদ্যোগ। তবে এর যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে প্রয়োজন স্বচ্ছতা ও নিয়মিত তথ্য হালনাগাদ করা।” এদিকে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আনুমানিক ৭,০০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে, যা সরকার, বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল যৌথভাবে অর্থায়ন করছে বলে জানা গেছে।
২০১৯ সালের কৃষি শুমারি অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে রয়েছে প্রায় ১ কোটি ৬৯ লাখ কৃষি পরিবার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান ছিল ১১.৩৮ শতাংশ। সরকার আশা করছে, স্মার্ট কার্ড প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে কৃষকদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
টিএ/