নবগঠিত ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু দাবি করেছেন, দলের দুঃসময়ে পাশে থাকার কারণে তাকে শেখ হাসিনার নির্দেশে 'আয়নাঘরে' নেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, "বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সবসময় খোঁজ-খবর নিয়েছি। দলের কঠিন সময়ে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এ কারণেই আমাকে আয়নাঘরে নেওয়া হয়েছিল। যদি ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান না হতো, তাহলে হয়তো আমি সেখানেই মারা যেতাম।"
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চরনিখলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে নবগঠিত উপজেলা ও পৌর বিএনপির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় উপজেলা ও পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন এই গণসংবর্ধনার আয়োজন করে।
এ সময় আবেগ আপ্লুত প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি আমি আজন্ম কৃতজ্ঞ। তারা আমার ওপর আস্থা রেখে যে দায়িত্ব আমার কাঁধে তুলে দিয়েছেন, আমি সেটা নীতি এবং নৈতিকতার সঙ্গে ধরে রাখব ইনশাআল্লাহ।
অনুষ্ঠানে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার আলী টিপুর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মনির সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন নবগঠিত উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক একেএম হারুন অর রশিদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান পারভেজ, শাহজাহান জয়পুরী, হোসেন মোহাম্মদ মন্ডল, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হায়দার আলী, মেহেদী হাসান রুবেল, উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সারোয়ার জাহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন ফরিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মিন্টু, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন নয়ন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফরহাদ আহমেদ প্রমুখ।
এর আগে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এদিন দুপুর থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে দলে দলে অংশগ্রহণ করে। সবশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই গণসংবর্ধনার সমাপ্তি ঘটে।