যে ক্লাব একসময় আমেরিকান ফুটবলে বিপ্লব ঘটিয়েছিল পেলে, ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার ও ইয়োহান ক্রুইফের মতো কিংবদন্তিদের এনে—সেই নিউইয়র্ক কসমস আবারও মাঠে ফিরছে। তবে এবার নতুন নামে, নতুন শহরে এবং নতুন স্বপ্ন নিয়ে।
নাম থেকে ‘নিউইয়র্ক’ শব্দটি বাদ দিয়ে কসমস এখন থেকে পরিচিত হবে শুধুই ‘কসমস’ নামে এবং তাদের নতুন ঘর হবে নিউ জার্সির প্যাটারসন শহরে। ক্লাবটি ২০২৬ সাল থেকে ইউএসএল লিগ ওয়ানে (যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় স্তরের পেশাদার ফুটবল লিগ) অংশ নেবে।
নারী দলও গঠন করা হবে, যারা ২০২৭ সালে ইউএসএল সুপার লিগে প্রতিযোগিতা শুরু করবে। কসমস তাদের ঘরের মাঠ হিসেবে বেছে নিয়েছে ঐতিহাসিক হিন্সক্লিফ স্টেডিয়াম, যার ধারণক্ষমতা ৭,৮০০।
ক্লাবটির মালিকানা পরিবর্তনের সঙ্গেই এসেছে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি। রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার বায়ে আদোফো-উইলসনের নেতৃত্বাধীন নর্থ জার্সি প্রো সকার এখন কসমসের মালিকানা ও ব্র্যান্ডের অধিকাংশ অংশীদার।
ইতালিয়ান-আমেরিকান ব্যবসায়ী ও ফিওরেন্টিনা মালিক রোকো কমিসো সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডার হিসেবে রয়ে গেছেন।
সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ইতালি জাতীয় দলের স্ট্রাইকার জিউসেপে রসি ক্লাবটির ভাইস-চেয়ারম্যান ও ‘হেড অব সকার’ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
রসি বলেন, ‘আমরা তারকাদের আমদানি করে আলো ছড়াতে চাই না। বরং, আমরা এখানেই-নর্থ জার্সিতে-প্রতিভা খুঁজে বের করব, তৈরি করব এবং গর্ব করব।
কসমস মানেই শুধু খেলাধুলা নয়, এটা একটা সংস্কৃতি, একটা কমিউনিটি।’
প্রসঙ্গত, কসমস প্রথম যাত্রায় (১৯৭১-১৯৮৫) নর্থ আমেরিকান সকার লিগে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেই যুগে দলটির হয়ে খেলেছেন বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় নামগুলো। পরে দীর্ঘ সময় নিষ্ক্রিয় থাকার পর ২০১০ সালে কসমসকে আবার চালু করা হয় এবং ২০১১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত নতুন এনএএসএলে অংশ নিয়ে আরো তিনটি শিরোপা জেতে তারা।
২০২১ সালে ক্লাবটি আবারও কার্যত বন্ধ হয়ে গেলেও, এবার নতুন মালিকানায় ও নতুন দর্শনে কসমস মাঠে নামছে দীর্ঘস্থায়ী ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে।
টিকে/