জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমারা যদি কোনো ভুল করি তাহলে সেই ভুল সংশোধন করে নেব। রাজনীতিতে কথার সঙ্গে কথার লড়াই হতে পারে। তবে কথার প্রতিবাদে মঞ্চে আগুন দেয়া, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা কোনো রাজনৈতিক চরিত্র হতে পারে না। এটি ফ্যাসিবাদী চরিত্র।’
রোববার (২০ জুন) দুপুরে রাঙ্গামাটিতে পদযাত্রা শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এসব কথা বলেন সারজিস।
তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের সহযোদ্ধা। আমরা যদি কোনো ভুল করি তাহলে সেই ভুল সংশোধনের মানসিকতা আমাদের সবসময় আছে।’
সারজিস বলেন, ‘কিছুদিন আগে বান্দরবান নিয়ে অনিচ্ছাকৃত ভুল কথা বলেছিলাম। এরপরই আমার মনে হয়েছিলো এই কথাটি আমার বলা উচিত হয়নি। আমি এই বিষয়ে আপনাদের সামনে দুঃখ প্রকাশ করতে চাই।’
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘রাষ্ট্রকাঠোমা ও আলমাতন্ত্রে কেউ আপরাধ করলে তাকেই উত্তরবঙ্গে না পার্বত্য এলাকায় বদলী করা হয়। এসব অঞ্চলের মানুষ তো ভিন্ন না, তাহলে কেন ওইসব দুর্নীতিবাজদের পানিশমেন্ট পোস্টিং দেয়া হয়। এইসব পানিশমেন্ট পোস্টিংয়ের মাধ্যমে কোনো একজন অসৎ অফিসারের সাজা হতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রবীণ রাজনীতিবিদরা কথায় কথায় আমাদের সাগরে ভাসিয়ে দেয়ার কথা বলেন, এতেই প্রমাণ হয় তাদের কাছ থেকে আমাদের শেখার কিছুই নেই। আগামীর বাংলাদেশে আমরা সম্প্রীতির রাজনীতি চাই।’
সমাবেশ শেষে দ্রুতই সভাস্থল ত্যাগ করেন নাগরিক কমিটির নেতারা।
এদিকে এনসিপি নেতা নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি রাঙ্গামাটি আগমনের কারণে জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সভাবেশ স্থলের দিকে যাওয়ার সময় কাঁঠালতলী মোড়ে পুলিশ আটকে দেয়। এ সময় সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে নেতাকর্মীরা। তারা এনসিপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
অন্যদিকে শহরের বনরূপায় এনসিপির সমাবেশ শুরু আগেই শহরের সব যানবাহন বন্ধ করা হয়। এ সময় এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা শেষে ফেরার পথে গাড়ি চলাচল করা করায় ভোগান্তিতে পড়েন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকায় পুলিশ তাদের দ্রুত সমাবেশ স্থল থেকে সরিয়ে দেয়। তবে এ ঘটনার জন্য এনসিপির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহরের প্রতিটি মোড়ে বাড়তি পুলিশ বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
এমআর/টিএ