ইসকন-এর নিরামিষ রেস্তরাঁয় অবলীলায় মাংস ভক্ষণ। ভিডিও ভাইরাল হতেই নেট মাধ্যম জুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়। এই বিতর্কে এ বার মুখ খুললেন র্যাপার বাদশা। ভিডিও দেখে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনিও।
নেটমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে প়ড়ে। সেখানে দেখা যায়, এক আফ্রিকান-ব্রিটিশ নাগরিক ইসকন-এর নিরামিষ রেস্তরাঁয় ঢুকে পড়েছেন। প্রথমে তিনি সেই রেস্তরাঁয় মাংস রয়েছে কিনা জিজ্ঞাসা করেন। পেঁয়াজ, রসুন-সহ কোনও আমিষ খাবারই সেখানে নেই জানতে পেরে, নিজের ব্যাগ থেকে বার করে মুরগির মাংস খেতে শুরু করেন। এমনকি, রেস্তরাঁর লোকজনকেও মাংস খাওয়ার প্রস্তাব দিতে থাকেন। এই দেখে চোখ কপালে ওঠে ওই রেস্তরাঁর কর্মীদের। ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে বার করে দেওয়ার জন্য তড়িঘড়ি নিরাপত্তারক্ষীকে ডাকেন তাঁরা।
এই ভিডিও নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বাদশার বক্তব্য, মাংসের খিদে নয়, ওই ব্যক্তির জুতোপেটা খাওয়ার খিদে পেয়েছিল। র্যাপার লিখেছেন, “ওই মুরগির মাংসটারও হয়তো অস্বস্তি হচ্ছিল। আসলে ভাইয়ের মাংসের খিদে নয়, মুখে জুতোপেটা খাওয়ার ইচ্ছে ছিল। আপনি যা বোঝেন না, সেটাকে সম্মান জানানোর মধ্যেই শক্তি প্রকাশ পায়।”
ওই রেস্তরাঁর সব কিছুই পর্যালোচনা করে ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ। মাংস খেতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়। কিন্তু তিনি রাজি হননি। ওই ব্যক্তির কাণ্ডে অন্য পুণ্যার্থীরাও অস্বস্তিতে পড়েন। ভিডিও দেখে নিন্দার ঝড় উঠেছে। নেটাগরিকেরা বলছেন, “আপনি নিজের বিশ্বাস নিয়ে থাকুন। কিন্তু অন্যের বিশ্বাস ও ধর্মকে অসম্মান করাও শিক্ষিত মানুষের কাজ নয়। এটাও গণতন্ত্রের বিরোধিতা করারই শামিল।”
এমকে/এসএন