মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৯ ওভার ৩ বলে ১১০ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেছেন ফখর জামান। জবাবে খেলতে নেমে ১৫ ওভার ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন তানজিদ তামিম। ইনফর্ম এই ওপেনার ৪ বল খেলে এক রানের বেশি করতে পারেননি। তিনে নেমে ব্যর্থ লিটন দাস। বাংলাদেশ অধিনায়কও করেছেন এক রান।
৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে সেই বিপদ সামাল দেন পারভেজ ইমন ও তাওহিদ হৃদয়। এই দুজনের ৭৩ রানের জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। ৩৭ বলে ৩৬ রান করেছেন হৃদয়।
হৃদয় থিতু হয়ে ফিরলেও ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নিয়েছেন ইমন। মাত্র ৩৪ বলে মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে অপরাজিত ৫৬ রান এসেছে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া অপরাজিত ১৫ রান করেছেন জাকের।
এর আগে বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস ওপেন করেন শেখ মেহেদি। এই ডানহাতি অফ স্পিনার সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কা সিরিজের শেষ ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছিলেন। লঙ্কায় যেখানে শেষ করেছিলেন আজ যেন ঠিক সেখান থেকেই শুরু করেন মেহেদি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই দলকে ব্রেকথ্রু এনে দিতে পারতেন তিনি। তবে তাসকিন আহমেদ সহজ ক্যাচ ফেলেছেন। তাতে ৪ রানে জীবন পান ফখর জামান।
ফখরের ক্যাচ মিসের মাশুল দিতে অবশ্য খুব বেশি সময় নেননি তাসকিন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই সায়িম আইয়ুবকে ফিরিয়েছেন এই পেসার। ৪ বলে ৬ রান করেছেন সায়িম।
পরের ওভারেই উইকেট পেয়েছেন মেহেদি। তিনে নামা মোহাম্মদ হারিস এই স্পিনারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কাউ কর্ণারে শামীম হোসেনের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ৩ বলে ৪ রান করেছেন তিনি।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে পরিবর্তন আনেন লিটন। আক্রমণে এসেই ব্রেকথ্রু দিয়েছেন তানজিম সাকিব। সালমান আলি আগাকে রীতিমতো বোকা বানিয়েছেন সাকিব। এই পেসারকে র্যাম্প স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ধরা পড়েন সালমান।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভার করতে এসে উইকেট পার্টিতে যোগ দেন মুস্তাফিজুর রহমানও। এই বাঁহাতি পেসারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে টপ এজ হয়ে থার্ড ম্যানে ধরা রিশাদ হোসেনের হাতে ধরা পড়েন হাসান নাওয়াজ। ডাক খেয়ে এই ব্যাটার ফেরায় ৪১ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
মিডল অর্ডারে সুবিধা করতে পারেননি মোহাম্মদ নাওয়াজও। রান আউটের শিকার হয়েছেন এই ব্যাটার। বাকিদের ব্যর্থতার দিনে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেছেন ফখর। ব্যক্তিগত ফিফটির পথেই ছিলেন তিনি। তবে রান আউটের শিকার হয়ে ৪৬ রানে থামতে হয়েছে তাকে।
৭০ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর খুশদিল শাহ ও আব্বাস আফ্রিদি মিলে ৩৩ রান যোগ করেন। এই জুটি ভেঙছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১০৩ রানে সপ্তম উইকেট হারানো পাকিস্তান অলআউট হয়েছে ১১০ রানে। ৭ রান যোগ করতেই শেষ ৩ উইকেট হারিয়েছে তারা।
মিরপুরের আজকের উইকেটে যেন ফিরে এসেছিলেন পুরোনো মুস্তাফিজ। তার স্লোয়ার আর কাটার পড়তে বেশ বেগ পেতে হয়েছে পাকিস্তানিদের। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। এ ছাড়া তাসকিন পেয়েছেন ৩ উইকেট। একটি করতে উইকেট পেয়েছেন তানজিম সাকিব ও মেহেদি।
এমআর/টিএ