একে বলে মরার উপড় খাড়ার ঘা। পেঁয়াজের বাজার যখন স্মরণকালের ভয়াবহ অস্থির সময় পার করছে তখন তাতে এসে যোগ হলো বুলবুলের তাণ্ডব। বুলবুলের প্রভাবে বন্দর থেকে আমদানী করা পেঁয়াজ খালাস করতে না পারায় গত দুই দিনেই ফের কেজিতে বেড়েছে অন্তত ৩০ টাক। চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে এ দরেই বিক্রি হচ্ছে মিয়ানমার থেকে আমদানী করা পেঁয়াজ।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে ৬৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পান ব্যবসায়ীরা। ভারত রপ্তানি বন্ধের পর থেকে সোমবার এ পর্যন্ত এই অনুমতি নেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে দেশে এসে পৌঁছেছে মাত্র পাঁচ হাজার টন। বাকি ৬১ হাজার টন পেঁয়াজ এখনো দেশে আসতে বাকি।
আমদানির অনুমতি নেওয়া হলেও এখনো পেঁয়াজের বড় চালান দেশে এসে পৌঁছায়নি। আবার ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গত কয়েক দিন বন্দর থেকে পেঁয়াজ খালাস বন্ধ থাকে। এ অবস্থায় কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম খুচরায় ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
সোমবার চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে মিয়ানমার থেকে আমদানি হওয়া পেঁয়াজ ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের আগে মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম খুচরায় ১০০ টাকায় বিক্রি হয়। অন্যদিকে, মিসর ও চীন থেকে আমদানি হওয়া পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। বুলবুলের আগে কেজিপ্রতি এর দাম ছিল ৮৫ টাকা।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইদ্রিস গণমাধ্যমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পেঁয়াজ খালাস হয়নি। তাতে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহে সংকট তৈরি হয়েছে। ঝড় কেটে যাওয়ায় এখন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে দামও কমবে। দাম বাড়ার কারণ সাময়িক বলে তিনি জানান।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শনিবার সব জাহাজ জেটি থেকে সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল রোববার দুপুরের পর থেকে জেটিতে জাহাজ ভেড়ানো শুরু হয়। আজ সোমবার পর্যন্ত ১০টি জাহাজ ভেড়ানো হয়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মোট দুদিন জাহাজ থেকে পেঁয়াজ খালাস ব্যাহত হয়।
টাইমস/এমএস