গত বছরের বহুল আলোচিত ইস্যূ ছিল পেঁয়াজের দামের উর্ধ্বমূখীতা। তর তর করে পেঁয়াজের কেজি প্রতি দাম উঠেছিল ২৫০ টাকায়। দেশের প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম নিয়ে কথা বলতে বাধ্য হয়েছিলেন। পেঁয়াজের দামের লাগাম টেনে ধরা যাবে কিনা তা নিয়ে সবার মাঝেই ছিল উৎকন্ঠা। সেই উৎকন্ঠা এবার শেষ হবার সময় হয়েছে। কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।
চলতি বছরের গত দুই মাসে পেঁয়াজের দাম ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যেই উঠানামা করেছে। কিন্তু মার্চের শুরুতে পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি ফেরার আভাস মিলেছে। এরই মধ্যে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১৫/২০ টাকা কমতে শুরু করেছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই পেঁয়াজের এই দরপতন শুরু হয়। পেঁয়াজ আমদানি নিয়ে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের মাঝেও প্রভাব দেখা গেছে।
শুক্রবার হিলি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫/৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। হিলি বন্দরে আমদানিকৃত ও দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্যবসায়ীরা আরও জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মেহেরপুরের সুখসাগর জাতের পেঁয়াজ আগের মতোই ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোববার বা সোমবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হতে পারে। এই খবরে কৃষকরা তাদের পেঁয়াজ বিক্রি করে দিচ্ছেন। যারা পেঁয়াজ সংরক্ষণ করেছিলেন তারাও সব বিক্রি করে দিচ্ছেন। ফলে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে।
এদিকে শুক্রবার রাজধানীর শ্যামবাজারে পাকিস্তানী পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫২/৫৩ টাকা, নেদারল্যান্ডের পেঁয়াজ ৫৫/৬০ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৬০/৭৫ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজের কেজি ৭০/৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
টাইমস/এসএন