দেশের সর্ববৃহৎ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের সর্বনিম্ন কলরেট ৫ পয়সা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর ফলে সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সার কলরেট এখন হবে ৫০ পয়সা। পাশাপাশি গ্রামীণফোনের ডেটা চার্জও বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এক বৈঠকে কলরেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কলরেট বাড়ানোর বিষয়টি গ্রামীণফোনকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানায় বিটিআরসি।
এর আগে ১৭ এপ্রিল বিটিআরসিতে এক সভায় সিগনিফিক্যান্ট মার্কেট পাওয়ার (এসএমপি) অপারেটর ঘোষণার বিধিনিষেধের আওতায় গ্রামীণফোনের সর্বনিম্ন কলরেট বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
বিটিআরসির প্রবিধানমালায় বলা হয়েছে- খুচরা মোবাইল সেবা সংশ্লিষ্ট বাজারের নির্ণায়কসমূহ তথা গ্রাহক সংখ্যা, অর্জিত রাজস্ব ও কমিশন কর্তৃক বরাদ্দকৃত তরঙ্গ- এই তিনটি নির্ণায়কের মধ্যে কোনো মোবাইল অপারেটর ন্যূনতম একটিতে মোট বাজারের অন্তত ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করলেই সেটিকে এসএমপি হিসেবে নির্ধারণের বিধান রয়েছে।
সে অনুসারে গ্রাহক সংখ্যা ও রাজস্ব আয়ের দিক থেকে এসএমপির শর্তের মধ্যে পড়েছে গ্রামীণফোন। বাজারে গ্রামীণফোনের রাজস্ব শেয়ার ৫০ শতাংশ ও গ্রাহক ৪৭ শতাংশের বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। সে হিসেবেই ফেব্রুয়ারিতে গ্রামীণফোনকে দেশের প্রথম এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, কলরেটের ওপর নিয়ন্ত্রণারোপ ছাড়া কেউ গ্রামীণফোনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। নম্বর পরিবর্তন না করে অন্য অপারেটরের সেবা নেয়ার সুযোগ গ্রাহকদের আছে। কাজেই যদি গ্রাহক মনে করেন, এটির কলরেট গ্রহণযোগ্য নয়, তবে সহজেই তারা অন্য নেটওয়ার্ক বেছে নিতে পারেন। এতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
তবে বর্তমানে যদি কোনো গ্রাহক একটি নেটওয়ার্ক ছাড়তে চান, তবে তাদের ৯০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে তা মাত্র ৩০ দিন।
টাইমস/এএস/এসআই