দেশের দুই শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির লাইসেন্স বাতিলের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন (বিটিআরসি)।
পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ব্যান্ডউইথ সীমিতকরণ ও এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) বন্ধের পরও পাওনা পরিশোধ না করায় এ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বলে বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে।
লাইসেন্স বাতিলের আগে নিয়মানুযায়ী কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠাতে হয় সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে। বিটিআরসির চেয়ারম্যান বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন। তিনি দেশে ফিরলে এ নোটিশ দেয়া হবে জানা গেছে।
বুধবার সাংবাদিকদের ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, পাওনা টাকা আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছি। না তারা এক টাকা দিয়েছে, না কানে তুলছে যে সরকারের কাছে তাদের দেনা আছে।
তিনি বলেন, গা যেহেতু করছে না, আমরা তো জাতীয় অর্থ পানিতে ফেলে রাখতে পারি না। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দিতে পারি না। আমাদের দিক থেকে বিটিআরসিকে বলা হয়েছে তোমরা চূড়ান্ত নোটিশ দাও।
গ্রামীণফোন ও রবিকে কখন নোটিশ দেয়া হবে, তা জানতে চাইলে বিটিআরসির একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, সরকারি সফরে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক দেশের বাইরে আছেন। তিনি ফিরলে আগামী সপ্তাহে নোটিশ পাঠানো হতে পারে।
গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। তাগাদা দেয়ার পরও টাকা পরিশোধ না করার যুক্তি দেখিয়ে ৪ জুলাই গ্রামীণফোনের ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি ৩০ শতাংশ এবং রবির ১৫ শতাংশ কমিয়ে দেয়া হয়।
গ্রাহক সমস্যার কথা চিন্তা করে ১৩ দিনের মাথায় ওই নির্দেশনা প্রত্যাহার করে বিটিআরসি। এরপর ২২ জুলাই গ্রামীণফোন ও রবিকে বিভিন্ন প্রকার সেবার অনুমোদন ও অনাপত্তিপত্র (এনওসি) না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ পরিস্থিতিতে লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
টাইমস/এএইচ/এসআই