চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) মোবাইল অপারেটর ‘রবি’র ৩২ কোটি টাকার মতো লোকসান হয়েছে। তবে একই সময়ে তাদের গ্রাহক ও রাজস্ব কিছুটা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় রবি আজিয়াটা লিমিটেড।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্বিতীয় প্রান্তিকে মাত্র ১ কোটি ২০ লাখ টাকা মুনাফা হয়েছে। তবে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে আর্থিক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক হিসাব নীতিমালা বা আইএফআরএস সিক্সটিন বাস্তবায়ন করায় অর্জিত এই স্বল্প মুনাফা ৩২ কোটি ২০ লাখ টাকার লোকসানে পরিণত হয়।
আগের প্রান্তিকের চেয়ে রবির রাজস্ব ১ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা টাকার অঙ্কে ১ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা। গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে ১২ দশমিক ৪ শতাংশ।
কথা বলা বা ভয়েস কল থেকে কোম্পানির রাজস্ব গত প্রান্তিকের তুলনায় ২ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে গত প্রান্তিকের তুলনায় ডেটা থেকে রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে ২ দশমিক ৫ শতাংশ। আলোচ্য দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রাহকসংখ্যা ১ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪ কোটি ৭৯ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা দেশের মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ২৯ দশমিক ৬ শতাংশ।
২০১৯ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ১ লাখে, যা মোট গ্রাহকের ৬২ দশমিক ৮ শতাংশ।
রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাজস্বের উপর ন্যূনতম ২ শতাংশ কর, ডিজএলাওয়েন্সেসের (এক্সেস পারকুইজিট এবং অন্যান্য), এবং বিদ্যমান প্রতিকূল টেলিযোগাযোগ নীতিমালার কারণে এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবির আর্থিক ফলাফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
এছাড়া সিম কর দ্বিগুণ করা এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো আমাদের আর্থিক পরিস্থিতিকে সামনের দিনগুলোতে আরও ঝুঁকিতে ফেলবে। এ প্রান্তিকে আমাদের রাজস্ব অর্জন সন্তোষজনক হলেও পরিবর্তিত করব্যবস্থা বাজারের প্রচলিত চ্যালেঞ্জগুলোর চেয়ে বড় প্রতিবন্ধক হিসেবে দেখা দিয়েছে-বলেন তিনি।
টাইমস/এএইচ/এসআই