কেন বিয়ে করতে চান না পপি?

বাংলা চলচ্চিত্রের শক্তিশালী নায়িকা পপি। অভিনয়গুণে এই পর্যন্ত তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারেও একাধিক ব্যবসাসফল ছবি উপহার দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

সিনেমার পাশাপাশি পপি মডেলিং, ওয়েব সিরিজ, নাটক, চলচ্চিত্র সব ক্ষেত্রেই সেরা। তবে একটা বিষয়ে বরাবরই পিছিয়ে পপি। সেটি হলো, তার সমসাময়িক সব নায়িকার বিয়ে হয়ে গেলেও এখনো অবিবাহিত পপি।

তবে এর কারণ কি? কেন বিয়ে করতে চান না পপি? এমন প্রশ্নে শুরুতে কোন উত্তর না দিতে চাইলেও পরে পপি বলেন, বিয়ে অনেক বড় একটি সিদ্ধান্ত। জীবনসঙ্গী হিসেবে একজন সঠিক মানুষের জন্য অপেক্ষা এখনো করছি। তবে জীবনসঙ্গী হিসেবে একজন সৎ মানুষ খুব দরকার। আর চারদিকে প্রতিনিয়ত এত এত বিবাহবিচ্ছেদের খবর পাচ্ছি। যার ফলে বিয়েতে ভীষণ ভয় পাই।

পপির বয়স এখন ৪০। ১৯৭৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ছয় ভাইবোনের মধ্যে পপি সবার বড়। পরিবারের অনিচ্ছাতে প্রথম মিডিয়াতে আসলেও এখন পপিকে সাপোর্ট দিচ্ছেন সকলেই।

প্রথম ১৯৯৫ সালে একটি ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মিডিয়ায় অভিষেক হয় পপির। পরবর্তীতে মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কুলি’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটেতার । যদিও শাকিল খানের বিপরীতে সোহানুর রহমান সোহানের পরিচালনায় ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ ছবিতে প্রথম ক্যামেরার সামনে আসেন। আর এই ছবির মাধ্যমেই কোটি দর্শকের প্রিয় হয়ে উঠেন পপি।

পপির ক্যারিয়ারের সেরা চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘কুলি, ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’, ‘দরদী সন্তান’, ‘লাল বাদশা’, ‘বিদ্রোহী পদ্মা’, ‘রানীকুঠির বাকী ইতিহাস’, ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘গঙ্গাযাত্রা’, ‘কি যাদু করিলা’, ‘পৌষ মাসের পিরীত’।

মূলত পপি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান ‘কারাগার’ (২০০৩), ‘মেঘের কোলে রোদ’ (২০০৮) ও ‘গঙ্গাযাত্রা’ (২০০৯) প্রভৃতি ছবির জন্য।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on: