করোনাভাইরাস: গৃহবন্দী সোহানা সাবার হালচাল

বড় ও ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহানা সাবা। অনেকদিন ধরে বেকার সময় কাটছে তার। প্রাণঘাতী করোনার প্রকোপে গৃহবন্দী হয়ে আছেন এ অভিনেত্রী।

তবে বহুদিন বেকার সময় কাটানোর পর হঠাৎ সাবার মাথায় এলো ঘরে বসে কিছু করার। গত কয়েকদিন ধরে সাবা পরিচালনা করছেন একটি অনলাইন সিরিজ এবং আয়োজন করেছেন অনলাইন আড্ডার।

এরই মধ্যে সাবার অনলাইন সিরিজের মধ্যে নয়নতারা হাউজিং লিমিটেড’-এ সাতটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে সাবা বলেন- আমি, শাওন আপু, চুমকি আপুসহ আমাদের একটা গ্রুপ আছে। এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে আমরা ইনবক্সে কথা বলছিলাম, ঘরে বসে কিছু করা যায় কি না। সেটা ভেবেই নয়নতারা হাউজিংয়ের প্রথম পর্ব ‘টমেটো’ নির্মাণের ভাবনা মাথায় আসে।

এসময় অনেক বিষয় চিন্তাভাবনা করে সাত-আট দিনেই স্ক্রিপ্টটা কমপ্লিট করে সবাইকে দিলাম।

এদিকে ‘টমেটো’ নির্মাণের সময় ভাবলাম যে সামনে তো পহেলা বৈশাখ। বৈশাখকে মাথায় রেখে কিছু করা যায় কি না। এরপর ‘এসো হে বৈশাখ’ নামের পর্বটা বানালাম। এমন করেই সাতটি পর্ব আমরা নির্মাণ করে ফেলেছি।

কাজ প্রসঙ্গে সোহানা সাবা বলেন, মানুষ মনে করে আমরা শিল্পীরা স্বপ্নের রাজ্যে বসবাস করি, প্রচুর টাকা আমাদের। কিন্তু প্রকৃত অবস্থা তা নয়। শিল্পীরা প্রতিদিনই লিপস্টিক মেখে বিভিন্ন জায়গায় আড্ডার অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছে হাসছে, সে হাসার মাঝেও যে কান্না লুকিয়ে আছে এটি পরিষ্কার করাই আমার মূল উদ্দেশ্য।

শুধু তাই নয়, কভিড-১৯ এর কারণে বিরক্ত না হয়ে কীভাবে নিজেকে ভালো রাখা যায় সেই গল্পটাও আমি ‘আড্ডা উইথ সোহানা সাবা’য় তুলে ধরছি।

তবে সাবার ঘরে শুটিং প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানান, ঘরের ভেতর লাইভ বা শুটিং করার কারণে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এখন ঘরে বসে লাইভ করছি, শুটিং করছি। এই কারণেই আমার ঘরের ভেতরে কী আছে সেটা দর্শকরা জেনে যাচ্ছে। পারসোনাল লাইফটা অনেকাংশে উন্মুক্ত হয়ে যাচ্ছে। আবার আমি কী করছি সেটা আমার পরিবারের সদস্যরাও জেনে যাচ্ছেন।

এদিকে লকডাউন শেষ হলেই আবারো শুটিংয়ে ফেরার কথা ভাবছেন সাবা।

তিনি বলেন, দুই মাস ধরে ঘরে বসে আছি। এভাবে কতদিন আর বসে থাকতে পারবো জানি না। তবে কাজে ফিরতেই চাই।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on: