নারী নির্যাতনের মামলা থেকে খালাস পেলেন ন্যান্সি

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি তার ছোট ভাই শাহরিয়ার আমানের সাবেক স্ত্রী সামিউন্নাহার শানুর দায়ের করা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালে নেত্রকোনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল তাকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

গত বছর সেপ্টেম্বরে ন্যান্সি আর তার ছোট ভাই শাহরিয়ার আমান সানির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন সামিউন্নাহার শানু। একই মামলায় ন্যান্সির স্বামী নাজিমুজ্জামান জায়েদকেও আসামি করা হয়। সাত মাস পর এই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তারা।

আসামি পক্ষের আইনজীবী জীবন কুমার সরকার বলেন, ‘আমার মক্কেলদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আমি মনে করছি, আমার মক্কেলদের মান–সম্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য এবং আর্থিক সুবিধা পাওয়ার আশায় তাদের মামলায় জড়ানো হয়েছে।’

গত ৬ সেপ্টেম্বর ন্যান্‌সি আর তার ছোট ভাই শাহরিয়ার আমান সানির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন সামিউন্নাহার শানু। তিনি নেত্রকোনা মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ন্যান্সি ও তার স্বামী নাজিমুজ্জামান জায়েদকেও আসামি করা হয়।

সামিউন্নাহার শানুর দায়ের করা মামলা থেকে জানা গেছে, বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে শানুকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা ও আসবাব এনে দিতে চাপ দেন সানি। এতে শানু অপারগতা প্রকাশ করলে সানি তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান। সম্প্রতি তার এই কাজে বড় বোন ন্যান্সি আর তার স্বামী জায়েদ সাহায্য করেন। তারা সানিকে উসকানি দেওয়া ছাড়াও শানুকে বিভিন্ন সময়ে মানসিক নির্যাতন চালাতেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

ওই সময় ন্যান্সি বলেছিলেন, ‘আমাকে কেন মামলায় জড়ানো হলো? শুধু আমাকে না, সঙ্গে আমার স্বামীকেও জড়ানো হয়েছে। এর মানে কী! আমার ভাই তার স্ত্রীর সঙ্গে কী ব্যবহার করেছে, তা তো আমার জানার কথা না। আমি থাকি ময়মনসিংহ আর ভাই নেত্রকোনায়। যতটুকু বুঝতে পারছি, যেহেতু আমাকে দেশের সবাই চেনেন, জানেন, আমার একটি পরিচিতি আছে, তাই আমাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। দেশের সবার সামনে ছোট করার জন্য, আমার ইমেজের ক্ষতি করার জন্য তারা আমাকে এই মামলায় আসামি করেছে। শানু যা অভিযোগ করেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি বিশ্বাস করি, অবশ্যই তা প্রমাণিত হবে, আসল সত্যিটা বেরিয়ে আসবে। আইন আমাদের নারীদের অনেক সুযোগ দিয়েছে, কিন্তু কেউ কেউ তার অপব্যবহার করছে। আমি মনে করছি, শানু সেই সুযোগটি নিয়েছে।’

সকালে নেত্রকোনার আদালত থেকে বেরিয়ে ন্যান্সি বলেন, ‘আমি কিন্তু আগেই বলেছিলাম, অকারণে আমাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমি নিশ্চিত ছিলাম, সত্যের জয় হবেই। তা প্রমাণিত হয়েছে। আমি একজন শিল্পী, এই ধরনের মিথ্যা অপবাদের কারণে আমাকে মানুষের নানা কথা শুনতে হয়েছে। পরিচিতজন, আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে প্রতিনিয়ত এই মামলার বিষয়ে কথা বলতে হয়েছে। আজ আমার মাথার ওপর থেকে সেই বোঝা সরে গেল। আজ আমি এবং আমার স্বামী পুরোপুরি মুক্ত। আদালতের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা।’

 

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: