বিনোদন জগতের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে প্রকাশ ঘটেছে ওয়েব সিরিজের। তবে ওয়েব সিরিজের কোনো সেন্সর না থাকায় নেই কোনো নিয়ম নীতি।
আর এই সুযোগকেই কাজে লাগাচ্ছে কলকাতার কিছু প্রযোজক ও পরিচালক। তারা ওয়েব সিরিজের নামে ছড়িয়ে দিচ্ছে অশ্লীলতা। বেশির ভাগ ওয়েব সিরিজগুলোতে দেখা গেছে আবেদনময়ী ও যৌনতার দৃশ্য।
ওয়েব সিরিজ ‘দুপুর ঠাকুরপো’তে জীমা বৌদী চরিত্রে দেখা গেছে কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সস্তিকা সৌধুকে। সেখানে সে শুধু খোলামেলা চরিত্রেই অভিনয় করেনি বরং আবেদনময়ী হয়ে টেনেছেন অনেক তরুণকে।
বাঙালি মেয়ে মোনালিসা অভিনয় করেছেন এমনই যৌন আবেদনময়ী একটি চরিত্রে।
আরেক ওয়েব ড্রামা ‘হ্যালো’তে অভিনয় করেন কলকাতার জনপ্রিয় দুই অভিনেত্রী রায়মা সেন ও প্রিয়াংকা সেন। সেই সিরিজে তাদেরকে দেখা যায় যৌনভরপুর কিছু দৃশ্যে অভিনয় করতে।
সম্প্রতি আইনজীবী বিদ্যা ঘণ্টিয়া অশ্লীলতা ভরপুর এই ওয়েব সিরিজ নিয়ে আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ওয়েব সিরিজ তৈরিতে কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় যে যার মতো করে সিরিজ তৈরি করছে; যার বেশির ভাগই যৌনতাপূর্ণ । এবং এর মাধ্যমে সমাজে হিংসা ও অশ্লীলতা ছড়ানো হচ্ছে।
মুম্বাই হাইকোর্টের বিচারপতি বৃষমধর অধিকারী ও বিচারপতি মুরলি ধর বেঞ্চ বলেছেন, যেখানে সিনেমা নাটক সেন্সর থেকে ছাড়পত্র নিতে হয় সেখানে ওয়েব সিরিজের জন্যও নির্দেশনা থাকা প্রয়োজন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব সিরিজেই একটি মানদণ্ড থাকা উচিৎ। বিনা মানদণ্ডে কোনো সিরিজ চলতে দেওয়া যায় না।
তবে কলকাতার নির্মাতারা মানছেন না এসব নীতি নৈতিকতা। তারা এগুলো তৈরি করার জন্য বানিয়ে ফেলেছে একটি অঘোষিত ইন্ডাস্ট্রি।
টাইমস/এমএএইচ/জেডটি