প্রখ্যাত সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলীকে রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সাভার পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র(সিআরপি)-তে নেয়া হয়েছে।
দেহের বাম অংশে সমস্যা থাকায় তাকে ফিজিওথেরাপি দেয়ার জন্য সোমবার দুপুর ১টার দিকে তাকে সিআরপিতে নেয়া হয়। এ সময়ে তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ফারজানা আলাউদ্দিন মিমি এবং শিশুকন্যা আদ্রিতা আলাউদ্দিন রাজকন্যা।
সিাআরপিতে আলাউদ্দিন আলীকে কয়েকদিন ফিজিওথেরাপি দেওয়ার পর বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।
আলাউদ্দিন আলী ফুসফুসের প্রদাহ ও রক্তে সংক্রমণ সমস্যায় ভুগছেন। পাশাপাশি তার ক্যান্সারের চিকিৎসাও চলছে। অবস্থা জটিল আকার ধারণ করলে গত ২২ জানুয়ারি তাকে রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে ২৫ জানুয়ারি সকালে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। এরপর কয়েক দফায় মেডিকেল বোর্ড গঠনের মাধ্যমে তাকে সমন্বিত সর্বাধুনিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পর্যায়ক্রমে নিবিড় পরিচর্যা থেকে কেবিনে বিশেষ চিকিৎসা সেবা প্রদানের মাধ্যমে তিনি সুস্থতার দিকে এগিয়ে যান। তার এই দীর্ঘ আড়াই মাসের চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে হাসপাতালের পাশাপাশি বিশেষ সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আদ্রিতা আলাউদ্দিন রাজকন্যা আলাউদ্দিন আলীর বর্তমান স্ত্রীর একমাত্র মেয়ে। তার আগের সংসারে রয়েছে আরও চার সন্তান। তারা হলেন আজমেরী আলী, শওকত আলী রানা, আফরীন আলী এবং আলিফ আলাউদ্দিন। তারা প্রত্যেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বর্তমান সংসারের মেয়ে রাজকন্যার বয়স আট বছর, এখনো স্কুলপড়ুয়া।
আলাউদ্দিন আলী বাংলা গান, বিশেষ করে বাংলা চলচ্চিত্রে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান তৈরি করেছেন। তিনি একই সঙ্গে সুরকার, সংগীত পরিচালক, বেহালাবাদক ও গীতিকার। গান লিখে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। লোকজ ও ধ্রুপদী গানের সংমিশ্রণে গড়ে ওঠা আলাউদ্দিন আলীর সুরের নিজস্ব ধরন বাংলা সংগীতে এক আলাদা ঢং হয়ে উঠেছে প্রায় চার দশক ধরে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের বহু স্বনামধন্য শিল্পী তার সুরে গান গেয়ে নিজেদের সমৃদ্ধ করেছেন।
টাইমস/এসআই