দাঁত বাঁচাতে ছাড়তে হবে যেসব অভ্যাস

বেশির ভাগ সময় আমরা নিজের দাঁতে যত্ন নিতে ভুলে যাই। দাঁত আমাদের মুখের সৌন্দর্যের জন্য অপরিহার্য আর এটি আমাদেরকে চিবোতে এবং খাবার খেতে সাহায্য করে। অসুস্থ দাঁত অনেক সমস্যার জন্ম দেয়, যা এড়াতে চাইলে অবশ্যই আমাদেরকে দাঁতের যত্নে আরও মনোযোগী হতে হবে।

দাঁতের বর্তমান অবস্থা যাই হোক না কেন, কিছু নিয়ম মেনে চললে দাঁতের সুস্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনা সক্ষম। চলুন জেনে নিই দাঁত বাঁচাতে চাইলে যেসব অভ্যাস ছাড়তে হবে-

বরফ বা অতি ঠাণ্ডা কিছু খাবার অভ্যাস
বরফ বা অতিরিক্ত ঠাণ্ডা কিছু খাবেন না। এসব দাঁতের জন্য নিরাপদ নয়। এমনকি শক্ত বরফে কামর দিলে দাঁতে ফাটল ধরতে পারে। তাছাড়া, এটি দাঁতের ভেতরকার নরম কোষগুলিকে উত্তেজিত করে তুলতে পারে। যার থেকে দাঁত ব্যথা শুরু হওয়া অসম্ভব কিছু নয়।

লজেন্স খাওয়া ও খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ না করা
লজেন্স খাওয়া পরিত্যাগ করতে পারলেই সব থেকে ভালো। কারণ, লজেন্স থেকে যে চিনি নিঃসরণ হয় তা দাঁতের উপরিভাগের আবরণকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কিছু ব্যাকটেরিয়া এই চিনিগুলোকে বিশেষ একটি এসিডে পরিণত করে, যা দাঁতের ক্যারামেল খেয়ে ফেলে। তারপর যদিও লজেন্স খেতেই হয়, অবশ্যই লজেন্স খাওয়ার পরে ব্রাশ করতে হবে।

দাঁতে দাঁত ঘষার অভ্যাস
রাগে বা জেদে দাঁতে দাঁত ঘষবেন না। কারণ, দাঁতে দাঁত ঘষতে থাকলে সময়ের সঙ্গে এটি দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই দাঁতে দাঁত ঘষার বদভ্যাস থাকলে তা অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে।

অনেক সময় মানসিক চাপে বা ঘুমের ঘরে অনেকে দাঁতে দাঁত ঘষে থাকেন। ঘুমের মধ্যে দাঁতে দাঁত ঘষার অভ্যাস থাকলে মাউথ গার্ড ব্যবহার করুন।

দাঁত দিয়ে কিছু খোলার অভ্যাস
মুখ দিয়ে কোনো বোতলের ছিপিসহ অন্য কিছু খোলার অভ্যাস থাকলে তা দাঁতের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই অভ্যাসের কথা শুনলে ডেন্টিস্টরাও অসহায় বোধ করেন। দাঁত দিয়ে কিছু খুলতে গেলে দাঁতে সূক্ষ্ম চিড় ধরতে পারে। সুতরাং ভুলেও এই কাজটি করা যাবে না।

ধূমপান
ধূমপানের অপকারীতার শেষ নেই। এটি দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং এর থেকে দেহ নূন্যতম উপকারিতাও পায় না। একই সঙ্গে ধূমপানের কারণে দাতে দাগ সৃষ্টি হয় এবং মাড়িতে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়। অন্য কিছুর জন্যে না হলেও ঝকঝকে হাসির স্বার্থে ধূমপান ছাড়তেই হবে।

এছাড়াও অ্যালকোহল, রেড ওয়াই, কফি প্রভৃতি পান করা থেকে বিরত থাকুন। এগুলো দাঁতে দাগের সৃষ্টি করে। এমনকি যেসব খাদ্য বা পানীয় কম সালিভা নিঃসরণ ঘটায় সেগুলো গ্রহণের পর দাঁতের ফাকে খাদ্যকণা আটকে থাকে। যা দাঁতের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার অন্তরায়। তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on: