ডায়াবেটিসের রোগীকে সব সময় খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, যাতে তার রক্তে শর্করার পরিমাণ কখনোই মাত্রা অতিক্রম না করে। অনেক ফল আছে, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। এর মধ্যে শীতের এমন একটি ফল হচ্ছে পেয়ারা, যা আপনার রক্তের শর্করা পরিমিত রাখতে খুবই কার্যকর।
হালকা সবুজ, কিছুটা মিষ্টি সুস্বাদু এই ফলটি সহজে আপনার খাবারের তালিকায় স্থান করে নিতে পারে। এতে গ্লাইসেমিকের মাত্রা কম, কতটা দ্রুত শর্করা হজম হয় এবং রক্তে মিশে যায় তা নির্ধারিত হয় এই গ্লাইসেমিকের মাত্রার উপর। গ্লুকোজ বেড়ে যাওয়ার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় এবং এর ফলে অতিরিক্ত ইনসুলিনের নিঃসরণ ঘটে।
যদি আপনার দেহ অতিরিক্ত ইনসুলিন নিঃসরণ ঘটায়; তার মানে হচ্ছে দেহ অতিরিক্ত চিনি চর্বি হিসেবে জমা করতে শুরু করছে। ফলে বাজে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, উচ্চ রক্তচাপ প্রভৃতি বেড়ে যায়।
২০১৬ সালের একটি গবেষণাতে দেখা গেছে, ওষুধ ছাড়াই রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এবং কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাড প্রভৃতির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে পেয়ারা খুব কার্যকর। এটি একইসঙ্গে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
মজার ব্যাপার হলো- পেয়ারা পাতার চা দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, যা টাইপ টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধে উপকারী। এছাড়াও পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন-সি থাকে। এতে উচ্চ মাত্রার পটাসিয়াম থাকার কারণে এটি উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে। কারণ পটাসিয়াম রক্তে সোডিয়াম বা লবণের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।
আপনার যদি ডায়াবেটিস-২ এর আশঙ্কা থাকে তাহলে পেয়ারা পাতার চা পান করা আপনার জন্য খুবই উপকারী। তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
টাইমস/এনজে/জিএস