কৃত্রিম মিষ্টি: দেহে ভালোমন্দের প্রভাব রাখে না

দৈনন্দিন জীবনে চিনির বিকল্প হিসেবে কৃত্রিম মিষ্টির ব্যবহার বাড়ছে। তবে মানব দেহের স্বাস্থ্যের জন্য এটা উপকারী নয়, আবার ক্ষতিকারকও নয়। সম্প্রতি বিএমজে জার্নালে প্রকাশিত ফ্রিবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এসব তথ্য ওঠে এসেছে।

গবেষণায় প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের উপর চিনির বিকল্প কৃত্রিম মিষ্টি প্রয়োগ করে ৫টি পর্যবেক্ষণমূলক ও ২১টি নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা চালানো হয়। প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, চিনির বিকল্প কৃত্রিম মিষ্টি দ্রব্য ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ ও অন্যান্যা শরীরবৃত্তীয় আচরণসহ মানব স্বাস্থ্যের উপর কোনো প্রভাব রাখে না।

তবে কিছু গবেষণায় ওজন হ্রাস ও রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা উন্নতকরণসহ কৃত্রিম মিষ্টির কিছু উপকারিতা পাওয়া গেলেও এটা খুব অল্প সময়ের জন্য হয় এবং এধরণের গবেষণা খুব কম বলে এই প্রতিবেদনে বলা হয়।

ফ্রিবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. জর্জ জে মিরপুল বলেন, এই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল কৃত্রিম মিষ্টির প্রভাব সম্পর্কে প্রমাণ সংগ্রহ করা। এতে দেখা যায়, এটা মানব স্বাস্থ্যের উপর ভালো বা মন্দ কোনো প্রভাব রাখে না।

এদিকে ‘মলিকুলস’ জার্নালে প্রকাশিত অপর এক গবেষণায় দেখা যায়, দৈনন্দিন বিভিন্ন খাবার ও পানীয়তে চিনির বিকল্প হিসেবে যে কৃত্রিম মিষ্টি ব্যবহার করা হয় তা দেহের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

ইসরায়েলের বেন-গুরিয়ন ইউনিভার্সিটি ও সিঙ্গাপুরের নানয়্যাং টেকনোলজিকাল ইউনিভার্সিটির কয়েকজন গবেষকের এ গবেষণায় বলা হয়, কৃত্রিম মিষ্টি ও স্বাদ-বর্ধক সম্পূরক দেহের অন্ত্রের পাচক জীবাণুগুলোর উপর বিষাক্ত প্রভাব ফেলে।

এই গবেষণায় জানা যায়, বাজারে কৃত্রিম চিনির বিকল্প হিসেবে স্যাকারিন, অ্যাসপার্টেম, সুক্রোলসসহ যেসব কৃত্রিম মিষ্টিকারক দ্রব্য পাওয়া যায় তার প্রতি এক মিলিগ্রাম আমাদের দেহে প্রবেশ করলে তা পরিপাকতন্ত্রের ব্যাক্টেরিয়াকে বিষাক্ত করে তুলে।

 

টাইমস/এএইচ/জিএস

Share this news on: