কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় পেয়াজ

রক্তে অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরলের মাত্রা আমাদের স্বাস্থ্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে যায়। কোলেস্টেরল ধমনীর দেয়ালগুলিতে তৈরি হয়, যার ফলে ধমনী সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।

সংকীর্ণ ধমনী অক্সিজেন এবং রক্তের অবাধ প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে। ফলে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য অংশও প্রভাবিত হতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরল ধমনীতে ব্লকেজ সৃষ্টি করে, যার ফলে হার্ট অ্যাটাক হয়।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা আমাদেরকে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। কিছু সুপারফুড প্রাকৃতিকভাবে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। পেঁয়াজ তেমনি একটি সুপারফুড, যা সাধারণত খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। যা রক্তে কোলেস্টেরল কমাতেও সহায়তা করে।

বিভিন্ন গবেষণা দেখা গেছে, পেঁয়াজের এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রাকৃতিকভাবে কমিয়ে দিতে পারে। পেঁয়াজে ফ্ল্যাভোনয়েডস নামক পলিফেনলিক যৌগের পরিমাণ বেশি। এগুলি আমাদের হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

ফ্ল্যাভোনয়েডে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যান্সার বিরোধী ক্ষমতা রয়েছে। ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে পেঁয়াজে ফ্ল্যাভোনয়েড কম ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) হ্রাস করতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কম করে।

ফুড অ্যান্ড ফাংশন জার্নালে প্রকাশিত আরেকটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, লাল পেঁয়াজ গ্রহণ করার সঙ্গে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমার সম্পর্ক রয়েছে।

পেঁয়াজের অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পেঁয়াজ উপকারী। এর গ্লাইসেমিক সূচক মাত্র ১০ এর মতো এবং এতে শর্করাও মাত্রাও খুব কম। পেঁয়াজ আমাদের সামগ্রিক হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

এছাড়াও খাদ্যাভ্যাসে পেঁয়াজ যুক্ত হলে তা আমাদের হজম শক্তি বাড়াতেও সহায়তা করবে। পেঁয়াজের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ব্যাকটেরিয়া থেকে সৃষ্ট সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সহায়তা করে। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on: