বিশ্বের বহু দেশেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর একটি জনপ্রিয় ব্যবস্থা হচ্ছে মাস্ক ব্যবহার। বিশেষ করে চীনে, যেখান থেকে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা, সেখানেও মানুষ বায়ুর দূষণের হাত থেকে বাঁচতে হরহামেশা নাক আর মুখ ঢাকা মুখোশ পরে ঘুরে বেড়ায়।
কিন্তু অনেকক্ষণ ধরে মাস্ক ব্যবহার করলে কিংবা একাধিক মাস্ক একসঙ্গে একটির ওপর আরেকটি রেখে ব্যবহার করলে অক্সিজেনের ঘাটতি হতে পারে। শরীরে অক্সিজেন কমে গেলে মানুষের শ্বাসপ্রশ্বাসের স্বাভাবিক ক্রিয়া ব্যাহত হয়। শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায় (প্রতি মিনিটে ২৪ বারের বেশি)। হৃদ্স্পন্দনের গতিও বেড়ে যায় (প্রতি মিনিটে ১০০–এর বেশি)। ফলে বুকে ব্যথা হয় ও শ্বাস নিতে সমস্যা হয়।
এছাড়া মাস্কে জমে থাকা কার্বন ডাই-অক্সাইড শরীরে প্রবেশ করে এই গ্যাসের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে মাথা ঘোরা বা মাথা ঝিমঝিম করতে পারে, হতবিহ্বল লাগতে পারে। মাথাব্যথাও হতে পারে। অবসাদগ্রস্ততা দেখা দিতে পারে। মাস্ক পরা অবস্থায় অনেকক্ষণ গাড়ি চালালে অক্সিজেনের অভাবে চালক সাময়িক চেতনা হারিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
আবার দীর্ঘ সময় মাস্ক ব্যবহার করলে তা সংক্রমণের উৎস হয়ে উঠতে পারে। মাস্ক আর্দ্র হয়ে গেলে সেখানে জীবাণুর জন্ম হয়, যা শ্বাস নেয়ার সময় ভেতরে চলে যায়। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা কিছু কৌশল অবলম্বনের কথা বলছেন, যাতে করে এসব অসুবিধা এড়ানো সম্ভব। সেগুলো হলো-
টাইমস/জিএস