পিঁপড়া থেকে রেহায় পেতে ঘরোয়া পদ্ধতি

বর্ষাকালের সঙ্গে এদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এদের জ্বালায় শুধু বর্ষা কেন, বছরের অন্য সময়ও অতিষ্ঠ হয় না, এমন লোক কিংবা বাড়ি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। যদিও করোনা আবহে সারাদিন বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দিকে নজর দিচ্ছেন প্রত্যেকে। তবু পিঁপড়া বড় বালাই।

কিছু কিছু পিঁপড়া (ফায়ার ও হারভেস্টার) রয়েছে, যা মানুষকে কামড়ায়। কাঠ পিঁপড়া ক্ষতি করে বাড়ি-ঘরেরও। এদিকে, খাবারে সংক্রমণের অন্যতম কারিগর পিঁপড়া।

এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ''পিঁপড়া থেকে খাবারে সংক্রমণের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, খাবারে কোনো সংক্রমণ মানে পেটের সমস্যা। এমিনতেই বর্ষায় ডায়ারিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে।''

তবে আতঙ্ক নয়, পিঁপড়া থেকে রেহায় দিতে রয়েছে বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি।

চক: রান্নাঘর কিংবা দেয়ালে চক গুঁড়ো করে কিংবা চকের দাগ কেটে রাখা যেতে পারে। চক বা ক্যালসিয়াম কার্বনেটের গন্ধে পিঁপড়ার উৎপাত কমতে পারে।

লেবু: বাড়ির যে অংশ দিয়ে পিঁপড়া আসছে সেখানে পাতি লেবুর খোসা রেখে দেয়া যায়। একইভাবে লেবুর রসও দিয়ে রাখলে পিঁপড়ার উপদ্রব কমে। লেবুর গন্ধ পিঁপড়াদের ঘোরতর অপছন্দ। তাই রান্নাঘরের স্ল্যাবে লেবু রেখে দিলেও ফল মিলবে। তবে সেই লেবুতে যেন কিছুতেই কোনো লবণ, চিনি লেগে না থাকে। তাহলে কিন্তু উপদ্রব বাড়বে।

কমলা লেবু: গরম জল ও এই লেবুর খোসা দিয়ে একটা ক্বাথ তৈরি করে সেটি পিঁপড়া ঢোকার রাস্তায়, রান্নাঘরের স্ল্যাবে দিয়ে রাখলে কমবে উৎপাত।

গোলমরিচ: পিঁপড়াদের দু'চোখের বিষ এই মশলা। বাড়ির বারান্দা, প্রবেশপথ, রান্নাঘরের দেয়াল কিংবা মেঝেতে জলের সঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে গোলমরিচের গুঁড়ো।

সাদা ভিনিগার: সাদা ভিনিগারের গন্ধ মোটেও সহ্য করতে পারে না পিঁপড়া। পানি ও সাদা ভিনিগার মিশিয়ে পিঁপড়া ঢোকার প্রবেশপথগুলিতে দিতে হবে।

দারচিনি-লবঙ্গ-তেজপাতা : প্রাকৃতিক বিকর্ষকের কাজ করে এগুলি। পিঁপড়ে মোটেও এগুলির গন্ধ পছন্দ করে না। গরম চাটুতে এগুলি দিয়ে তারপর গুঁড়ো করে অল্প পরিমাণে ছড়িয়ে রাখলে পিঁপড়া পালাতে বাধ্য।

পুদিনা পাতা: একটা কড়া গন্ধ আছে এই পাতার। সামান্য থেতো করে এই পাতা রান্নাঘর ও মেঝের কোণের অংশগুলিতে দিয়ে রাখা যেতে পারে। পুদিনা তেল জলের সঙ্গে মিশিয়ে ঘরে স্প্রে করলেও পিঁপড়ের হাত থেকে রেহাই মিলবে।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: