বিশ্বব্যাপী অধিকাংশ দেশেই চা অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পানীয়। সকাল, দুপুর কিংবা রাত সবসময়ই আমাদের সঙ্গী হয়ে আছে চা। চায়ের জন্ম চীন দেশে হলেও এর নামকরণ হয়েছে গ্রিক দেবী ‘থিয়া’ এর নামানুসারে।
চা মূলত ক্যামেলিয়া সিনেনসিন জাতীয় একপ্রকার কৃষিজ উদ্ভিদের পাতা ও মুকুল থেকে তৈরি করা হয়। এই ধরনের চা সাধারণত আমাদের কাছে সবুজ চা কিংবা ওলোং চা হিসেবে পরিচিত। তবে সাধারণত স্বাদ ও গন্ধযুক্ত যেকোনো পানীয়কে চা বলা হয়।
আমরা সচরাচর দুধ চা পান করি, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অন্যদিকে রং চা বা সবুজ চা স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। এছাড়া রোজ টি, ল্যাভেন্ডার টিসহ বিভিন্ন ধরনের হার্বাল চা রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
হার্বাল চায়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা হলো-
ক্যামোমিল চা
হার্বাল চায়ের মধ্যে খুব জনপ্রিয় একটি চা হলো ক্যামোমিল চা। বর্তমানে আমাদের খুব সাধারণ একটি স্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে মানসিক চাপ। এক্ষেত্রে এক কাপ ক্যামোমিল চা আমাদের কেবল আরামদায়ক ও প্রশান্তই করবে না, বরং এটা আমাদের মানসিক চাপ দূর করে দেবে।
পেপারমিন্ট বা মেনথল চা
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে জাঙ্ক ফুডের ব্যবহার ব্যাপকহারে বেড়ে গেছে। জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ফলে আমাদের পরিপাকতন্ত্রে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। যেমন- বদহজম, পেট ফাঁপা, গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে খুব উপকারে আসে পেপারমিন্ট বা মেনথল চা।
রোজ চা
রোজ চায়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিওক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য প্রদাহজনিত স্বাস্থ্য জটিলতা হ্রাস করে। এছাড়া এটি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে এবং পাকস্থলীর চর্বি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
ডেন্ডেলায়ন চা
ডেন্ডেলায়ন এক ধরনের বন্য হলুদ ফুলের গাছ। ডেন্ডেলায়ন চা তৈরি করা খুব সহজ। পানিতে ডেন্ডেলায়ন ফুল সিদ্ধ করলেই ডেন্ডেলায়ন চা হয়ে যায়। এর সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য উপকারিতা হচ্ছে- এটা ওজন কমায় এবং হজমশক্তি উন্নত করে। এছাড়া এটি হাড় মজবুত করতে ও রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
আদা চা
যদি আপনি বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা, প্রদাহ কিংবা পেট ফাঁপা ফাঁপা সমস্যায় ভুগেন, তাহলে আপনার জন্য খুব ভালো একটা ওষুধ হচ্ছে আদা চা। এ ছাড়া বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মেয়েদের পিরিয়ডকালীন ব্যথা ও উচ্চমাত্রার ব্লাড সুগার সমস্যার সমাধানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আদা চা।
টাইমস/এএইচ/জিএস