‘গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি’ পত্রিকায় প্রকাশিত ওই গবেষণায় অন্ত্রের প্রদাহজনিত রোগে ভুগছে এমন ৯ হাজার ৪শ শিশুর মৃত্যুহার এবং অন্যান্য শিশুর মৃত্যুহার বিশ্লেষণ করে এ ফলাফল পাওয়া গেছে।
অন্ত্রের প্রদাহজনিত রোগ বলতে পরিপাকতন্ত্রের সব অংশ অথবা যেকোনো অংশের অবিরাম বা স্থায়ী প্রদাহকে বোঝায়।
সুইডেনের কেরোলিন্সকা ইনস্টিটিউটের প্রধান গবেষক ওলা ওলেন বলেন, যেসব শিশুর অন্ত্রের প্রদাহজনিত রোগ ধরা পড়ে, তাদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে যেসব শিশু অন্ত্রের প্রদাহজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছিল শৈশবেই কিংবা পরবর্তী জীবনে তাদের মৃত্যুহার অন্যদের থেকে তিন থেকে পাঁচগুণ বেশি।
গবেষক ওলা ওলেন বলেন, অন্ত্রের প্রদাহজনিত সমস্যা অনেকের ক্ষেত্রে ক্যান্সারের মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
এক্ষেত্রে অধিকাংশের মৃত্যুর সাধারণ কারণ ক্যান্সার হলেও প্রদাহজনিত সমস্যাই মৃত্যুহার বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
গবেষণার ফলাফল থেকে আরও জানা যায়, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জীবন প্রত্যাশার মান কমে যাওয়ার জন্য প্রদাহজনিত সমস্যাই দায়ী। তবে এটা বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের ক্ষেত্রে আরও আক্রমণাত্মক রোগ বলে মনে করা হয়।