কতটুকু গরুর মাংস খেতে পারবেন হার্টের রোগীরা?

রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়াকে হৃদরোগের প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়। সে জন্য অনেকে গরুর মাংস এড়িয়ে চলেন। কারণ গরুর মাংস কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তবে পরিকল্পিত খাদ্যগ্রহণ নীতি মেনে চললে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব।

গরুর মাংস স্বাদে অতুলনীয় এবং পুষ্টি উপাদানসমৃদ্ধ। তাই বাংলাদেশের মানুষ মাংসের মধ্যে গরুর মাংস খেতেই বেশি পছন্দ করেন। তবে যারা উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ও এলার্জির সমস্যায় ভুগছে, তাদের কোরবানির ঈদ এলেই মন খারাপ হয়। তাদের অনেকেই মনে করেন গরুর মাংস খেতে পারবেন না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে হার্টের রোগীদের জেনে-বুঝে পরিমাণ মতো মাংস খেতে হবে। একজন সুস্থ মানুষের কোলেস্টেরলের দৈনিক নিরাপদ মাত্রা হলো ৩০০ মিলিগ্রাম এবং হার্টের রোগীর জন্য ২০০ মিলিগ্রাম। তাই হার্ট ও এলার্জি রোগীরাও কিছু পরামর্শ মেনে নিলেই তারাও গরুর সুস্বাদু মাংস নিশ্চিন্তভাবে খেতে পারবেন।

হার্টের রোগীদের কী পরিমাণ খাওয়া উচিত:

দৈনিক গরুর মাংস খাওয়ার নিরাপদ মাত্রা হলো- ৩ আউন্স বা ৮৫ গ্রাম। অর্থাৎ আনুমানিক একটা কম্পিউটারের মাউস বা একটি তাসের বান্ডিলের সমান টুকরাতে এই পরিমাণ মাংস পাবেন। আপনি যদি ৩ আউন্স বা ৮৫ গ্রাম চর্বি ছাড়া গরুর মাংস খান, তাহলে এটা থেকে আপনার দৈনিক ক্যালরির চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ আসবে। ৩ আউন্স মাংসে আছ ২০০ ক্যালরি এবং দৈনিক ক্যালরির চাহিদা ২০০০ ক্যালরি।

মাংস রান্না আগে চর্বি ছাড়িয়ে নিন:

মাংস রান্না করার আগে মাংস থেকে অতিরিক্ত চর্বি ছাড়িয়ে নিন। শুধু মাংসের টুকরা রান্না করতে পারেন। এই রান্না করা মাংস উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ও এলার্জি রোগীরা খেতে পারবেন।

সিনার ও পাজরের মাংস:

গরুর শরীরের সিনা ও পাজরের মাংসে কোনো চর্বি থাকে না। তাই উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ও এলার্জি রোগীরা সিনা ও পাজরের মাংস খেতে পারবেন। এই মাংস খেলে তেমন ক্ষতির শঙ্কা নেই।

টানা কতদিন খাবেন:

আপনি গরুর মাংস খেতে পারলেও দীর্ঘ সময়ের জন্য খেতে পারবেন না। ঈদের দিন থেকে শুরু করে পর পর তিন দিন খেতে পারেন।

দিনে দুই বেলার বেশি নয়:

মাংস অবশ্যই খাওয়া যাবে, তবে দিনে দুই বেলার বেশি নয়। আর মাংসের পরিমাণ হবে ছোট হলে তিন টুকরা আর বড় হলে দুই টুকরা।

গরুর মাংসের শিক কাবাব, চাপ:

শিক কাবাব কমবেশি সবারই বেশ পছন্দ, বিশেষ করে গরুর মাংসের শিক কাবাব। আর উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ও এলার্জির রোগীরা গরুর মাংসের শিক কাবাব ও চাপ খেতে পারেন। কারণ এই খাবারগুলোতে চর্বি থাকে না।

অ্যান্টি হিসটাসিন:

যাদের অতিরিক্ত এলার্জির সমস্যা আছে তারাও মাংস খেতে পারবেন। তবে খাওয়ার আগে একটি অ্যান্টি হিসটাসিন খেয়ে নিতে পারেন। আর উচ্চ রক্তচাপের হার্টের রোগীরা শরীরের কোলেস্টোরল কমায় এমন ওষুধ খেতে পারেন।

 

টাইমস/এসআই

 

Share this news on: