রোহিঙ্গা গণহত্যার দায় মিয়ানমারের: আইসিজে

রোহিঙ্গা গণহত্যার দায় মিয়ানমার এড়াতে পারে না বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চারটি নির্দেশনাও দিয়েছেন এই আদালত।

নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিচারকরা সর্বসম্মতভাবে এই নির্দেশনা দিয়েছেন।

জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এ আদালত জানিয়েছেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গা নিধনের অভিযোগ অস্বীকার করে যে দাবি করেছে, সেটি ভিত্তিহীন। গাম্বিয়া মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির যে সুরক্ষা চেয়েছে, তা গণহত্যা সনদের ৪১ ধারায় নিশ্চিত করা হয়েছে। কাজেই রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা নিশ্চিতে গাম্বিয়ার দাবিসমূহ বিবেচনা করে তিনটি অন্তর্বর্তী নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

আইসিজের প্রধান বিচারপতি আবদুল কাভি আহমেদ ইউসুফ বলেন, গণহত্যার কনভেনশন অনুযায়ী কোনো রাষ্ট্রই বিচারের ঊর্ধ্বে নয়। এ মামলায় মিয়ানমার অসহযোগিতা করেছে। গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করতে আইসিজে আদালতের এখতিয়ার নিয়েও মিয়ানমার আপত্তি করেছে। যা ভিত্তিহীন।

এক রাষ্ট্র আরেক রাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারবে উল্লেখ করে আইসিজে আরও বলেছে, গণহত্যা সনদের ২ ধারা অনুযায়ী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী একটি বিশেষ সুরক্ষার অধিকারী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচ্য। এছাড়া রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় গাম্বিয়াসহ যেকোন রাষ্ট্র মামলা করার অধিকার রাখে।

জানা যায়, গাম্বিয়া গত ১১ নভেম্বর আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মামলা করে। মামলায় বলা হয়, মিয়ানমারের সামরিক ও তৎপরবর্তী সরকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা, ধর্ষণ ও সাম্প্রদায়িক নিধন চালিয়েছে।

গাম্বিয়ার ওই মামলার শুনানির জন্য ১০-১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারিখ নির্ধারণ করা হয়। প্রথম ধাপে ১০ ডিসেম্বর শুনানি করে গাম্বিয়া। আর ১১ ডিসেম্বর শুনানি করে মিয়ানমার।

১০ ডিসেম্বর গাম্বিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির বিচারবিষয়ক মন্ত্রী আবুবকর তামবাদু। মিয়ানমারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন দেশটির স্টেট কাউন্সিলর নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি।

 

টাইমস/এসএন/এইচইউ

Share this news on: