যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কেন্দ্রস্থল নিউ ইয়র্ক। মঙ্গলবার অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো বলেন- যা ভেবেছিলাম করোনা তার চেয়েও ভয়ঙ্কর ও ছোঁয়াচে। আমরা এখনও পাহাড়ে চড়ছি। মূল যুদ্ধ শুরু হবে পর্বতচূড়ায় পৌঁছানোর পরই।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নিউ ইয়র্কে মারা গেছেন আরও ৩৩২ জন। এনিয়ে সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৫০ জনে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন অন্তত ৯ হাজার ২৯৮ জন। এনিয়ে ওই অঞ্চলে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৫ হাজার ৭৯৫ জনে।
এদিকে, গভর্নরের ভাই ক্রিস কুয়োমোও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পেশায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের অনুষ্ঠান উপস্থাপক ক্রিস বাসায় কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। সেখান থেকেই দৈনন্দিন কাজকর্ম করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতেই করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটিতে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের তাণ্ডবে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে। বুধবার সকাল ১০টা অবধি আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডো মিটার এ তথ্য দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৮৮ হাজার ৫৩০ জন। মারা গেছেন ৩ হাজার ৮৮৯ জন।
আর চীনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৫১৮ জন। মারা গেছেন ৩ হাজার ৩০৫ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৭৬ হাজার ৫২ জন। সে হিসাবে আক্রান্তের পর মৃতের সংখ্যায়ও চীনকে পেছনে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র। ১ মার্চ নিউ ইয়র্কে ইরানফেরত একজনের শরীরে প্রথম করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়।
টাইমস/জিএস