চীনের উহান শহর থেকে গেল ডিসেম্বরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলেও এর ভয়াবহ পরিস্থিতি সীমাবদ্ধ রাখতে দেশটি সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে এই ভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে ইতালি। তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ইতালিতে মোট ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ১৬ হাজার ৮৪৭ জন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর কোনো ঘটনায় ইতালিতে এত মানুষের মৃত্যু হয়নি। এ পরিস্থিতিতে দেশটি এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। তবে, দেশটির প্রাতো শহরে থাকা ৫০ হাজার চীনা বংশোদ্ভূত নাগরিকের কেউই করোনায় আক্রান্ত হয়নি। ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে তারা চীনের নাগরিকদের মতো ঘরে থেকেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
রয়টার্স জানিয়েছে, জানুয়ারির শেষ দিকে প্রাতোর চীনা বংশোদ্ভূত লোকজন নিজেরাই লকডাউন করে ঘর থেকে বের না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা চীনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজেকে রক্ষা করেছে। এর শিক্ষা হলো- ঘর থেকে বের না হওয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।
প্রাতো শহরে শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রেনজো বার্তি রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, প্রাতোর চীনা বংশোদ্ভূত লোকজনের মাধ্যমে ইতালিতে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। অথচ এখন, ইতালীয়দের চেয়ে আমরা ভালো আছি।’ তিনি বলেন, প্রাতোতে বাস করে এমন কোনো চীনা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি।
প্রাতোর জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ জাতিগত চীনা। বিরাট এই জনগোষ্ঠীর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হওয়ায় ইতালিতে গড় সংক্রমণের হার কমিয়ে এনেছে, অন্যথায় তা আরও বাড়ত।
টাইমস/জিএস