যুক্তরাষ্ট্রে কারফিউ ভেঙ্গে রাস্তায় মানুষ, আটক ২০০

শেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় অগ্নিগর্ভ যুক্তরাষ্ট্র। শত চেষ্টা করেও ট্রাম্প প্রশাসন জনগনের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এরই মধ্যে দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে কারফিউ জারি করা হলেও তা মানছেন না বিক্ষোভকারীরা। কারফিউ ভেঙ্গে রাস্তায় নেমে এসেছে মানুষ। স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের রাজপথ।

এদিকে টানা অষ্টম দিনের বিক্ষোভে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে অন্তত ২০০ বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতেই পুলিশ এই গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়েছে বলে জানা গেছে।

দেশটির আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বরাতে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, নিউইয়র্ক পুলিশ স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে পুরো শহর থেকে প্রায় ২০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে চলমান আন্দোলনের বেশিরভাগ বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করা হয়েছে। ম্যানহাটনে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে বিক্ষোভ উপভোগ করেছেন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন দোকানী ও স্থানীয় বাসিন্দারারও বিক্ষোভে সমর্থন দিচ্ছেন।

যদিও বিভিন্ন এলাকায় লুটপাটের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। তবে সোমবার রাতে যে লুটপাট দেখা গেছে তার মতো এত ব্যাপক বা বিশৃঙ্খলা আর কোথাও দেখা যায়নি। এসব কর্মকান্ডের জন্য পরবর্তিতে যৌক্তিক এই আন্দোলন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যেতে পারে।

এদিকে স্থানীয় সময় মঙ্গলবারও দেশটির প্রায় সব শহরেই বিক্ষোভ হয়েছে। কোথাও কোথাও সেনাবাহিনীর ন্যাশনাল গার্ড ও পুলিশের সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে হাঁটু গেড়ে সংহতি প্রকাশ করেছেন।

অপরদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ইপসোসের একটি যৌথ জরিপ মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৬৪ শতাংশ মানুষ চলমান বিক্ষোভে সমর্থন দিয়েছে এবং তারা মনে করেন আন্দোলন সঠিক পথে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিসে শেতাঙ্গ পুলিশের নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এরই প্রতিবাদে আমেরিকাজুড়ে সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভ চলছে। কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। আবার কোথাও বিক্ষোভ রূপ নিয়েছে সহিংস দাঙ্গায়।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: